ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে বাদী

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:০৯

দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে বাদী

যুদ্ধাপরাধী মামলা করায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী এলাকার রাজাকার আব্দুর রশিদের পরিবার কর্তৃক মামলার বাদীসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদ ও আসামিদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মোশররফ হোসেন।

এ সময় ৭১ সালে রাজাকারের হাতে নিহত শহীদ আজিবর মন্ডলের ছেলে ও যুদ্ধাপরাধী মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আজিবরের স্ত্রী নবিরণ নেছা, যুদ্ধাপরাধী মামলার সাক্ষি হাজিরণ নেছা, বাদীর চাচা হাজী মহিউদ্দীন মন্ডল, চাচি হাজেরা খাতুন, জহুরা খাতুন, বাদীর বোন সুফিয়া বেগম, শাহারণ নেছা, মোমেনা খাতুন ও সাবেক ইউপি মেম্বর আলমগীর হোসেন মন্ডলসহ শালিয়া, হলিধানী, রামচন্দ্রপুর, প্রতাপপুর, গ্যাড়ামারা, নাটাবাড়িয়া, বিনোদপুর, রাধাকান্তপুর, রতনপুর, সোনারদাইড়, সাগান্না, বেড়াদি, গাগান্না, কাশিপুর, রাজনগর ও বাঁশেরদাইড় গ্রামের শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৭১ সালে রাজাকার কর্তৃক হলিধানী ইউনিয়নের কোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আশির উদ্দীনের পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়। তারা ওই পরিবারের ৩ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আজিবর মন্ডল, হবিবার মন্ডল ও আনসার মন্ডলকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। নিহত স্বজনরা লাশও খুঁজে পায়নি। পরিবারটির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করায় গত ২১ অক্টোবর তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রাজাকার আব্দুর রশিদ মিয়া ও রাজাকার সাহেব আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ সদর উপজেলার কোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য মরহুম আশির উদ্দীন রাজাকারদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি প্রাথমিক অনুসন্ধান করে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। কিন্ত সেই মামলা রাজনৈতিক চাপে তুলে নিতে বাধ্য হয়। ওই পরিবারের সন্তান আনোয়ার হোসেন পিতৃ হত্যার বিচার পেতে ঢাকার যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খান (বিপিএম সেবা পিপিএম) তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত হন। এরপর গ্রেপ্তার হয় রাজাকার রশিদ ও সাহেব আলী।

চিহ্নিত দুই রাজাকার গ্রেপ্তারের পর মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইতোমধ্যে তাদের বাড়ির আশে পাশে অপরিচিত লোকজন চলাচল করছে। রাজাকারের সন্তানরা দল বেধে মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়া হচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে খুন জখমের হুমকি দেয়া হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতার অভাবে ঝিনাইদহ সদর থানায় জিডি করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত