ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের প্রচুর রক্তের প্রয়োজন

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১১:২৪

ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের প্রচুর রক্তের প্রয়োজন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তুর্ণা নীশিথা ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৬ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। বেশিরভাগ আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

এর আগে, সোমবার রাত ৪ টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। ডিসি হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানিয়েছেন, সিগন্যাল না মানায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানিয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকা সিলেট রেলওয়ে থানা পুলিশের এএসআই মো. ইকবাল হোসেন জানান, উদয়ন ট্রেনটি তুর্না নীশিতা ট্রেনটিকে সাইড দিচ্ছিল। উদয়নের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলোতে তুর্না নীশিতা ধাক্কা দিলে দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

মন্দবাগ স্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, তূর্ণার চালক তথা লোকো মাস্টারকে ট্রেন থামানোর জন্য আউটার ও হোম দুই স্থানেই লাল বাতি সংকেত দেয়া হয়েছিল। কিন্ত চালক ট্রেন দাঁড় করাননি বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট-ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ঘটনাস্থলে, সদর হাসপাতালে দুইজন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে একজন মারা যান।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যমল কান্তি দাস জানান, দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরো মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত