ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ট্রেন দুর্ঘটনা দেখতে এসে পেলেন চাচা-চাচির লাশ

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:১৯

ট্রেন দুর্ঘটনা দেখতে এসে পেলেন চাচা-চাচির লাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা ও আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের দেখতে এসেছিলেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকার মো. শাহাদৎ। কিন্তু সেখানে এসে নিজের চাচা মজিবুর রহমান (৫০) ও চাচি কুলসুমার (৪৩) মরদেহ দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি।

কসবা উপজেলার বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বারান্দায় তার চাচা-চাচির নিথর দেহ শোয়ানো ছিলো।

শাহাদৎ জানান, মন্দবাগ এলাকায় থেকে ফার্নিচার তৈরির কাজ করেন তিনি। মন্দবাগ রেলস্টেশনে ট্রেন দু্র্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন মরদেহ দেখতে। এসে বারান্দায় থাকা নিজের চাচা মজিবুর রহমান ও চাচি কুলসুমার মরদেহ দেখে হতবাক হয়ে পড়েন তিনি।

তিনি আরো জানান, মজিবুর রহমান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ব্যবসা করতেন। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে তিনি ও তার স্ত্রী চাঁদপুরে নিজ বাড়িকে ফিরছিলেন। সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাদের ছেলে ফোন দিয়েছে খবর জানতে। আমি এখনও চাচা-চাচির মৃত্যুর খবর বাড়িতে জানাতে পারিনি।

মঙ্গলবার ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৫ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা নিহতেদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদেরর পরিচয় শনাক্ত করছেন। এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাাদ এলাকার আইয়ূব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (৩৫), আনোয়ারপুর এলাকার মো. হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসূফ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও এলাকার সুজন (২৪), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২)।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত