ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

স্ত্রী-সন্তানের সাথে ইউসুফের শেষ দেখাটা হলো না

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:২৯  
আপডেট :
 ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৭

শেষ দেখাটাও হলো না

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশন এলাকায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন মো. ইউসুফ। তিনি হবিগঞ্জে থেকে সেখানকার একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালনা করতেন। তার স্ত্রী চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান চট্টগ্রাম থাকার সুবাধে প্রায়ই চট্টগ্রাম যেতেন আলী মো. ইউসুফ। কিন্তু বরাবরে মতো এবার আর তার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি নিজের একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীর কাছে। পথিমধ্যেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৪৮ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। নিহত হয়েছেন ১৬ জন। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রেলওয়ে স্টেশন, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা গতকাল রাত ২টা ৪৮ মিনিটে শশীদল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাত্রা করে। ট্রেনটিকে আউটারে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। আর উদয়ন এক্সপ্রেস কসবা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করার পথে ট্রেনটিকে মেইন লাইন ছেড়ে ১ নম্বর লাইনে আসার সংকেত দেওয়া হয়। উদয়নের ছয়টি বগি প্রধান লাইনে থাকতেই তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ট্রেনটির মাঝামাঝি ঢুকে পড়ে। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জাকের হোসেন চৌধুরী বলেন, তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত