ফাঁসির আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ কনডেম সেলে

ফেনী জেলা কারাগারে পৃথক কনডেম সেল ও ফাঁসির মঞ্চ না থাকায় নুসরাত হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরও ৪ আসামিকে ফেনী কারাগার থেকে বুধবার কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে পাঠানো হয়েছে।

সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রহুল আমীনকে কুমিল্লা কারাগারে এবং কামরুন নাহার মনি ও উম্মে সুলতানা পপিকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ১২ জনকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।

ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল যুবকের

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদরাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

২৪ অক্টোবর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামির সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।