ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

কারা ক্যাসিনো খেলেছে জানাতে সিঙ্গাপুরকে অনুরোধ করা হয়েছে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:২২

কারা ক্যাসিনো খেলেছে জানাতে সিঙ্গাপুরকে অনুরোধ করা হয়েছে

ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বাংলাদেশের কারা সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো খেলেছে তার তথ্য দেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন সে দেশের সরকারকে অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদে সাংসদদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস, জুয়াসহ সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসহ সব সেক্টরে এবং স্থানে সরকারের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও সরকারি কর্মচারিসহ অপরাধী যেই হোক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে অনুসন্ধানপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি সমাজের সব স্তর থেকে অপরাধ নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলেও সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারি দলের সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পদের তথ্য চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে। এছাড়া কারা কারা অভিজাত গাড়ি কিনেছে, সেই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সকল দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে দুদক কাজ করে যাচ্ছে।

জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে। দুদক ইতিমধ্যে দুর্নীতিবাজদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করেছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ইতোমধ্যে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে ক্যাসিনোর আস্তানাগুলো উচ্ছেদ করেছে। সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে আদালতে সোপর্দ করেছে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি অব্যাহত আছে।

প্রধানমন্ত্রী সংসদকে অবহিত করেন, গত ১০ বছরে দুর্নীতি দমন কমিশন ১৩ হাজার ২৩৮টি অভিযোগের অনুসন্ধান, ৩ হাজার ৬১৭টি মামলা দায়ের এবং ৫ হাজার ১৭৯টি চার্জশিট দাখিল করেছে।

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাসিনো ও দুর্নীতির সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত রয়েছে।

সংসদ নেতা বলেন, সব দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে দুদক কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়াও সরকারি কর্মচারীসহ অন্য যেসব ব্যক্তি জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের পাশাপাশি ক্যাসিনো, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে সরকার।

জাতীয় পার্টির সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত