ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

আবারো অঝোরে কাঁদলেন আবরারের মা

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:২৩

আবারো অঝোরে কাঁদলেন আবরারের মা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় ১১ জন। ঘটনাস্থলে উপস্থিতি এবং অন্যভাবে সম্পৃক্ততার কারণে বাকি ১৪ জনকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বুধবার দুপুরে টেলিভিশনে নিজ সন্তানের হত্যা মামলার চার্জশিট দেয়ার খবর শুনে কুষ্টিয়া শহরের বাসায় কান্নায় ভেঙে পড়েন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন। হত্যাকাণ্ডের ১ মাস ৭ দিনের মাথায় আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়ায় আপাতত খুশি তার পরিবার। তবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারকাজ শেষে খুনিদের ফাঁসি দেখতে চান আবরারের বাবা-মা ও ভাইসহ স্বজনরা।

একই সঙ্গে অবহেলার বিষয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষের নাম আসায় এখন থেকে সব শিক্ষার্থীর বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়ার আহ্বান জানান তারা। যাতে আর কোনো আবরারকে কখনও এই রকম পরিণতি ভোগ করতে না হয়।

বুধবার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে আবরার ফাহাদের বাসায় গিয়ে চার্জশিট দাখিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তার মা রোকেয়া খাতুন বলেন, পুলিশ কথা রেখেছে। তারা বলেছিল নিরপেক্ষভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করবে। তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে আবরার ফাহাদের বিচারের দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই দায়িত্ববোধ থেকে তিনি নিজে বিষয়টি মনিটরিং করছেন। তাই তাকেও ধন্যবাদ।

তিনি আরও বলেন, সব মিলিয়ে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। চার্জশিটের কপিতে কী আছে আমরা জানি না। তবে চার্জশিট যেমন দ্রুত হল, তেমনিভাবে দ্রুততম সময়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে অপরাধীদের। অপরাধের ধরন অনুযায়ী সবাইকে কঠোর ও সর্বোচ্চ সাজা দিতে হবে।

আবরারের মা বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষের অবহেলার বিষয়টি আমরা বলে আসছিলাম। পুলিশও তদন্তে সেটার প্রমাণ পেয়েছে। তাই এখন থেকে তাদেরও প্রতিটি শিক্ষার্থীর ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। যাতে আর কোনো আবরারকে আমাদের হারাতে না হয়।

আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ সাব্বির বলেন, পুলিশ তাদের কথা অনুযাযী দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র আদালতে দিয়েছে। এখন বিচার সম্পন্ন করে দ্রুত তাদের সাজা কার্যকর করতে হবে। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি, ভাইয়ার মামলাটি যেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

তিনি আরও বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই আমার ভাইয়া অকালে মারা গেছেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিলে হয়তো ভাইয়া বেঁচে থাকতেন। তাই তারাও দায় এড়াতে পারেন না। তাদেরকেও সাবধান করতে হবে।

আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ এ সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি তার কর্মস্থল আলাউদ্দিনগরে ছিলেন। তিনি মোবাইলে যুগান্তরকে বলেন, আমার ছেলে মারা যাবার পর সবাই দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও অভিযোগপত্র দেয়ার দাবিতে মাঠে ছিলেন। প্রাথমিকভাবে আমরা পুলিশের কাজে খুশি। তারা তদন্ত করে ১৯ জনের পরিবর্তে ২৫ জনের সম্পৃক্ততা পেয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে। এখন দ্রুত শুনানি শেষে বিচারকাজ শুরু করতে হবে। আর চার্জশিটের কপি হাতে পেলে বিস্তারিত জানতে পারব।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত