ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

কসমেটিক সার্জারি করিয়ে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি

  যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:১২

কসমেটিক সার্জারি করিয়ে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি

যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার দুই নারীকে ভারতে পাচার ও পতিতাবৃত্তির অভিযোগে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে শেখহাটি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো ওই এলাকার হালিম মোল্লা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আরিফা আক্তার পপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম পিপিএম জানান, আটককৃতরা তাদের এলাকার ত্রিশোর্ধ্ব দুই নারীকে ভারতে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখায়। এরপর আরিফা আক্তার তাদের বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মাধ্যমে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে পাঠায়। সেখানে সীমা বেগম ওরফে সীমা সাহা নামে এক নারী তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে এবং সে জানায় আরিফা তাদের বিক্রি করে দিয়েছে।

পতিতাবৃত্তি করানোর জন্য তাদের কসমেটিক সার্জারিও করানো হয়। প্রায় দেড়মাস পর রাজু নামে এক ব্যক্তির সহায়তায় পাচারের শিকার ওই দুই নারী সীমা সাহার বাড়ি থেকে পালিয়ে দেশে ফিরে আসে। এরপর ওই দুই নারী আরিফার কাছে গিয়ে পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তাদের গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে নির্যাতিতরা পুলিশের শরণাপন্ন হলে আরিফা আক্তার ও তার স্বামীকে আটক করা হয়।

তিনি জানিয়েছেন, সীমা সাহার বাংলাদেশের নাম সীমা বেগম এবং ভারতের নাম সীমা সাহা। তার বাড়ি যশোরের মণিরামপুর এলাকায়। তবে এখনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। ভারতের ব্যাঙ্গালোরে সে বাড়ি ভাড়া করে নিয়ে থাকে। আর বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের বিভিন্ন জনের মাধ্যমে সেখানে নিয়ে গিয়ে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ করে। চেহারা খারাপ হলে তাদের প্লাস্টিক সার্জারি বা কসমেটিক সার্জারি করিয়ে নেয়। এই ঘটনায় সাথে বেনাপোলে সীমন্তের কেউ জাড়িত আছে কি না পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা আদালতে এই বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত