ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাবি শিক্ষার্থীকে পেটালো পুলিশ কনস্টেবল

  রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০০

রাবি শিক্ষার্থীকে পেটালো পুলিশ কনস্টেবল

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে ক্যাম্পাসে ডিউটিরত এক পুলিশ কনস্টেবল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর নাম হুমায়ন কবির নাহিদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। অন্যদিকে মারধরকারী পুলিশ কনস্টেবল মো.নাদিম।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নাহিদ সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাইক নিয়ে বিনোদপুর গেট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছিলেন। এসময় মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার মাসুদ রান নাহিদকে থামিয়ে তার বাইকের কাগজপত্র দেখাতে বলে। নাহিদ বাইকের কাগজপত্র না দেখিয়ে গাড়ির সামনের স্টুডেট স্টিকার দেখান এবং নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। কিন্তু পুলিশ কাগজপত্র ছাড়া প্রবেশ করতে দিবে না জানায়। এক পর্যায়ে নাহিদ বাইকের কাগজপত্র দেখান। কাগজপত্রের মধ্যে নাহিদের নাম ছিল না, সেখানে তার বড় ভাইয়ের নাম ছিল।

পরে মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাসুদ রানা নাহিদকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার অর্ডার করেন। সে সময়ে নাহিদ বাইকে জোর করে বসে থাকেন। এ সময় এসি মাসুদের সঙ্গে নাহিদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল মো.নাদিম নাহিদকে মারধর করে ও টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায়।

মারধরের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বিনোদপুর গেটে জড়ো হয়ে সেখানে দায়িত্বরত অন্য পুলিশদের ঘিরে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নাহিদকে থানা থেকে ঘটনাস্থলে আনা হয়। এ সময় পুলিশ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাসুদ রান ও মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন। পরে পুলিশের সহকারী কমিশনার মাসুন রানা নাহিদের কাছে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চান। আগামী তিন দিনে মধ্যে জড়িত পুলিশ কনেস্টবলদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

জানতে চাইলে মতিহার থানার (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। মারধরকারী পুলিশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশ আমাকে ঘটনাটি অনেক পরে জানিয়েছে। আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করছি। তবে ঘটনাটি শুনার পরই আমি সেখানে দুইজন সহকারী প্রক্টর পাঠিয়েছি।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত