ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মেয়েকে বিক্রি করে জুয়া খেললো বাবা

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:১৩  
আপডেট :
 ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:৩১

মেয়েকে বিক্রি করে জুয়া খেললো বাবা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নিজের শিশু কন্যাকে বিক্রি করে জুয়ার খেলার ঘটনায় ফারুক মিয়া নামে এক জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা যায়, মায়ের প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয় ১৪ মাস বয়সী শিশুটিকে। এঘটনায় শিশুটির ক্রেতা জাকিয়া নামে এক নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

গত সোমবার এমন ঘটনা হলেও মিডিয়ার নজরে আসে তিন দিন পর। গত বুধবার কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশের ওসি এম এ জলিল জানান, নিজের শিশু সন্তানকে বিক্রি করে ফারুক ভূঞা ৭০ হাজার টাকা পেয়েছিল। এক রাতেই জুয়া খেলে তিনি পুরো টাকাই শেষ করে দেন। জুয়ার নেশায় পড়েই সে এমন নির্মমতার পথ বেছে নিয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

তিনি জানান, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কটিয়াদী থানা পুলিশের এসআই মো. মোস্তফা কামাল। শনিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার বালিরারপাড় এলাকার মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে ফারুক ভুইয়ার সঙ্গে একই ইউনিয়নের রামদী গ্রামের মো. ফরিদ ভূঞার মেয়ে মোছা. রিনা খাতুনের বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। গত ৫ নভেম্বর তাদের জন্ম নেয়া শিশু সন্তানের নাম রাখা হয় রাধিয়া।

গত সোমবার ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাধিয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ফারুক ভুইয়া। কিন্তু ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বেতাল গ্রামের সুমন ভূঞার স্ত্রী জাকিয়া আক্তারের কাছে ৭০ হাজার টাকায় নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দেন ফারুক। তার স্ত্রীকে জানানো হয়, এক নারীর কোলে রাধিয়াকে রেখে টয়লেটে গিয়েছিলেন ফারুক। এসে দেখেন ওই মহিলা নেই।

খবর পেয়ে মা রিনা ছুটে যান কটিয়াদী হাসপাতালে। কিন্তু শিশুটিকে কোথাও পাওয়া যায়নি। ফারুক ভুইয়ার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেলের দিকে ফারুক অন্য একটি মোবাইল ফোনে শিশুটির মা রিনাকে জানায়, শিশু রাধিয়াকে পেতে হলে তাকে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে।

এরই মধ্যে রিনার কাছে খবর আসে ফারুক ও তার কয়েকজন আত্মীয় মিলে রাধিয়াকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ঘটনার পরদিন গত মঙ্গলবার কটিয়াদী মডেল থানায় ঘটনায় জড়িতদের শিশুটির বাবা, দাদি রেহেনা খাতুন ও তাদের আত্মীয় জসিম ভূঞাসহ অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পর দিন পুলিশ ফারুক ও জাকিয়াকে গ্রেপ্তারসহ শিশুটিকে উদ্ধার করে। একই দিন আদালতের নির্দেশে শিশু রাধিয়াকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে দুই আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত