ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

হাতবিহীন মুন্নি পেল ল্যাপটপ-৫০হাজার টাকা

  নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২০  
আপডেট :
 ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২৯

হাতবিহীন মুন্নি পেল ল্যাপটপ-৫০হাজার টাকা

দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী মমতাজ আক্তার মুন্নিকে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩(এলজিএসপি-৩) এর বরাদ্দ থেকে। সে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মোত্তর বানিয়াপাড়ার মৃত. মোজাম্মেল হকের মেয়ে।

বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তার হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।

এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা মুরাদ হাসান, কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান বক্তব্য দেন।

আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলিম এন্ড ভোকেশনাল মাদ্রাসা থেকে ২০১৮ সালে জিপিএ-৪.৭৯ পেয়ে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয় মুন্নি। চলতি বছর দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হয় সে।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন জানান, মুন্নি জন্মগত প্রতিবন্ধী। দুই হাত দিয়ে কিছুই করতে পারে না সে। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় বাবা মারা যায় তার। অভাবের সংসারে মা মাহমুদা বেগম বাড়িতে সেলাই কাজ করে সংসার চালান।

লোকমান হোসেন বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে মেয়েটি। ব্যক্তিগত এবং পরিষদের পক্ষ থেকে তার প্রতি সহানুভুতি থাকবে সব সময়।

এ সময় মমতাজ আক্তার মুন্নি বলে,‘আমি একজন প্রকৌশলী হতে চাই। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। পড়াশোনার জন্য ল্যাপটবটি খুব জরুরি ছিলো। এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।’

এলজিএসপি প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলেটর আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ থাকা এলজিএসপি’র মানব কল্যাল তহবিল থেকে এটির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মেয়েটি শিক্ষাজীবনে এর ব্যবহার করতে পারে।

মেয়েটির পড়াশোনা চালিয়ে নিতে জেলা প্রশাসক ২০ হাজার, জেলা পরিষদ ২০হাজার এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক আফরোজা বেগম দশ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৫০হাজার টাকা এফডিআর করে রাখা হবে তার নামে। এখানকার লভ্যাংশ সে নিজের লেখাপড়ার কাজে ব্যবহার করবে। এছাড়াও তার জন্য দুর্যোগ সহনীয় একটি ঘর দেয়ার ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত