ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকারি ঘর পেলো চাঁদপুরের ৭ হাজার পরিবার

সরকারি ঘর পেলো চাঁদপুরের ৭ হাজার পরিবার

‘দেশের একটি লোকও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই স্লোগানকে সফল করার লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলায় চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার ৯৩৯ পরিবারকে মাথা গোজার ঠাঁই করে দেয়া হয়েছে। আশ্রয় পাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে অধিকাংশ পরিবারই মেঘনার ভাঙনের শিকার ও চরাঞ্চলের দরিদ্র পরিবার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার আট উপজেলায় অসহায়, দুস্থ, ভূমিহীন ও নদী ভাঙনে ছিন্নমূল পরিবারগুলোকে আশ্রয় দেয়ার জন্য এখনও ৩২৩ ঘর নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা সূত্র জানায়, জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দুই হাজার ৯৭২ পরিবার, গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে এক হাজার ৬০৫ পরিবার, আদর্শ গ্রামের মাধ্যমে ৪৫ পরিবার ও ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় দুই হাজার ৩১৭ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের মেঘনাপাড়, লক্ষ্মীপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নে সরেজমিনে দেখা গেছে, আশ্রয়গ্রহণকারী পরিবারগুলোর নাগরিক সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্যে প্রতিটি গৃহে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের জন্য পৃথক কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি বিদ্যালয়, অভ্যন্তরের সড়ক, পানি ব্যবস্থা, পুকুর খনন ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুব্যবস্থাও করা হয়েছে।

এছাড়া তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, গবাদি পশু পালন, কুটির শিল্প তৈরি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরিচর্চা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক পরিবাররে সদস্যরা হাঁস, মুরগি, গবাদি পশু পালন, কুটির শিল্প তৈরি, জাল বুনন, নৌকা তৈরিসহ ক্ষুদ্র ব্যবসা করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে।

চাঁদপুর জেলায় আরও ৩২৬ পরিবারকে আশ্রয় দেয়ার কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে।

‘জমি আছে ঘর নাই’ এমন সুবিধাভোগী লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের অনিল সূত্রধর বলেন, ‘আমার ঘর আগে ভাঙা ছিল। ঝড় তুফান আসলে, আরেকজনের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিতাম। এখন ঘরটি পেয়ে স্ত্রী ও ৩ মেয়ে সন্তানকে নিয়ে শান্তিতেই আছি।’

আরেক সুবিধাভোগী সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের সাখুয়া গ্রামের ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার ঘরে বৃষ্টি আসলে পানি পড়তো। রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতাম। এখন বয়স হয়ে যাওয়ায় আর কাজ করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঘর পাওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘চাঁদপুর জেলার প্রত্যেকটি গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোজার ঠাঁই দেয়ার লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রত্যেক কর্মকর্তা সর্বদা তৎপর। এই পর্যন্ত আমরা প্রায় ৭ হাজার পরিবারকে ঘর তৈরি করে দিতে সক্ষম হয়েছি। কিছু ঘর তৈরির কাজ এখনও চলছে। সরকারের এই চলমান প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

  • সর্বশেষ
  • পঠিত