ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশের পোশাকে ডাকাতি, বোমা বিস্ফোরণ

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:০০

পুলিশের পোশাকে ডাকাতি, বোমা বিস্ফোরণ

বরিশালের মুলাদী উপজেলা বন্দরের ৩টি স্বর্ণ এবং একটি মুদি দোকানে পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালালে ডাকাতরা ৫/৬টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

ডাকাতিকালে বন্দরের পাহারাদাদের বেঁধে রাখা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের দাবি, নগদ অর্থসহ ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম।

ডাকাতি সংঘটিত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে - বনিক কর্মকারের জননী জুয়েলার্স, সুরেশ কর্মকারের রিতা জুয়েলার্স ও প্রফুল্ল কর্মকারের বনশ্রী জুয়েলার্স এবং মুদি দোকান রহমত স্টোর্স।

বনিক, সুরেশ ও প্রফুল্ল কর্মকার জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। রাত আড়াইটার দিকে খবর পান বন্দরে ডাকাত পড়েছে। ডাকাতরা প্রথমে রহমত স্টোর্স ভাংচুর করে সেখান থেকে নগদ অর্থ লুট করে। এছাড়া তাদের মালিকানাধীন ৩টি জুয়েলার্সের তালা কেটে স্বর্ন ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। এর পূর্বে বাজারের ৫ জন পাহারাদারকে বেঁধে রহমত মুদি দোকানের গোডাউনে রাখা হয়।

এর মধ্যে পাহারাদার বাবুল কোনভাবে ছুটে গিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গাড়ি নিয়ে বাজারে পৌঁছলে তাদের লক্ষ্য করে ৫ থেকে ৬টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল। ডাকাত দলে থাকা ১৪/১৫ জনের মধ্যে ৬ থেকে ৭ জন পুলিশের পোশাক এবং কিছু ডাকাত মুখোশ পরিহিত ছিল।

পুলিশের অভিযান চলাকালে বাজার সংলগ্ন নয়াভাঙ্গুলী নদীতে থাকা ট্রলারযোগে ৬ ডাকাত পালিয়ে যায়। বাকীরা বিভিন্ন স্থান থেকে সটকে পড়ে। ব্যবসায়ীদের ধারণা বিকেল থেকেই ডাকাতরা বাজারে অবস্থান করছিল। গভীর রাতে সুযোগ বুঝে তারা ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি করে।

এদিকে এ ঘটনার পর বাজার পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। তিনি ব্যবাসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে ডাকাতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত