ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫১ মিনিট আগে
শিরোনাম

১০ চিকিৎসক বদলিতে দুশ্চিন্তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:০০

১০ চিকিৎসক বদলিতে দুশ্চিন্তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ২১ চিকিৎসকের মধ‌্যে ১০ জন বদলি হওয়ায় সেবা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলাবাসী। রোববার পদোন্নতিজনিত কারণে এই ১০ চিকিৎসক বদলি হন। এতে করে হাসপাতালে ২১ চিকিৎসকের পদ শূন্য হয়ে গেছে।

গত ২৮ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ১০ চিকিৎসকের পদোন্নতির এক আদেশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই আদেশে হাসপাতালে ১০ জুনিয়র কনসালটেন্টকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা হলেন- কুমিল্লা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে পদায়ন করা শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইকবাল হোসেন, মেডিসিনের এম এ ফয়েজ ও এ কে এম শফিকুল ইসলাম, মুগদা মেডিক‌্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পদায়ন করা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সায়েম আহমেদ, সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জুনায়েদুর রহমান, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে পদায়ন করা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. আবুল এহসান ও রাজীব আহসান, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. আলামিন, শরীফ মাসুমা ইসমত, মোশফেকুর রহমান। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থেশিয়া) খোকন দেবনাথকে হবিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চলতি দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, তত্ত্ববধায়কসহ হাসপাতালে চিকিৎসকের ৫৭ পদ রয়েছে। এরমধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১০ চিকিৎসকের পদ শূন্য ছিল। রোববার ১১ চিকিৎসক অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় ২১ চিকিৎসকের পদ শূন্য হয়ে গেছে। এতে হাসপাতালের পাঁচ বিভাগ চিকিৎসক শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগীরা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্ছিত হবেন। দুর্ভোগে পড়বেন সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে এক হাজার ২৫০ জন রোগী এবং সকাল থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত জরুরি বিভাগে ১৪৪ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর হাসপাতালে ২৫০ শয্যা থাকলেও ৩৬০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক শওকত হোসেন বলেন, ‘এই ১০ চিকিৎসক হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা দিতেন। তারা চলে যাওয়ায় হাসপাতালের পাঁচ ওয়ার্ড একেবারেই চিকিৎসক শূন্য হয়ে পড়েছে। রোগীদের চাপ কীভাবে সামাল দেব এই দুশ্চিন্তায় আছি। সরকারের কাছে দ্রুত চিকিৎসক পদায়নের জন্য আবেদন করছি।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত