ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

এএসআইর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ নারীর

  রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৫

এএসআইর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ নারীর

রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশ হেড কোয়ার্টার, ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ) ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সানারপাড় এলাকার হাবিব নামে এক ব্যক্তির মেয়ে সান্তনা আক্তার এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ থানার এএসআই আনিছুর রহমান গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় হাবিবকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর হাবিব তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে জানায় তাকে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ খবর পেয়ে হাবিবের স্ত্রী ও ছেলে রাজন রূপগঞ্জ থানার গাউছিয়া এলাকায় গিয়ে দেখে হাবিব একটি হাইচ গাড়িতে পুলিশের সাথে বসা। এসময় সিভিল পোশাকে এএসআই আনিছুর রহমান হাবিবের পাশে বসা ছিলো। এরপর এএসআই আনিছুর রহমান তাদের গাড়িতে তুলে নেয় এবং তাদের নিয়ে ওই গাড়িতে করে ঘুরতে থাকে। রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে হাবিব তার মেয়ে সান্তনা আক্তারকে ফোন করে বলে তোর মা ও ভাই রাজন আমাকে দেখার জন্য আসলে তোর মাকে ও রাজনকে গ্রেপ্তার করে আমার সঙ্গে পুলিশের গাড়িতে বসিয়ে রেখেছে। আমাদের ছেড়ে দিতে ৫ লাখ টাকা দাবি করছে। পরবর্তীতে ২ লাখ টাকায় কথাবার্তা হয়। তাড়াতাড়ি টাকা জোগাড় করে আমাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যা। পুলিশ আমাকে মারধর করছে। এ সময় সান্তনা জানতে চায় কেন পুলিশ তাদের ধরেছে। এর উত্তরে হাবিব জানায় সন্দেহ করে তাকে ধরেছে। পরে তিনি (সান্তনা) টাকা জোগাড় করে কোথায় আসবে জানতে চাইলে তাকে তারাবো বিশ্ব রোড়ে আসতে বলে। সেখানে তিনি গেলে তাকে আবার সুলতানা কামাল ব্রিজের পূর্ব পাশে নিউ আল জান্নাত খাবার হোটেলে আসতে বলে। এ সময় সান্তনা তার মামা ও মামার এক বন্ধুকে নিয়ে সেই খাবার হোটেলে যায়। সেখানে তিনি এএসআই আনিছুর রহমানের কাছে জানান ২ লাখ টাকা জোগাড় করতে পারি নাই। আমার কাছে ১ লাখ টাকা আছে যদি সম্ভব হয় তাহলে আমার বাবা ও মাকে ছেড়ে দেন। আমার বাবাকে কি কারণে ধরেছেন তা আমি জানি না। আমার মা ও ছোট ভাই আসছে দেখতে তাদেরকে আটক করলেন কেন, তাদের কী অপরাধ। এ সব কথা বলার এক পর্যায়ে সান্তনার মা ও বাবাকে ছেড়ে দিবে বলে ১ লাখ টাকায় রাজি হয়ে তারা উক্ত হোটেলে বসে এবং ওই ১ লাখ টাকা নেয়। এরপর গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেবে বলে সাথে থাকা তাদের ৩ জানের কাছ থেকে (মামা ও তার বন্ধু) সাদা কাগজে জিম্মানামা স্বাক্ষর নেয়। এরপর হোটেল থেকে বেড়িয়ে হাইচ গাড়িতে উঠে দ্রুত হাবিব ও তার স্ত্রীকে নিয়ে থানায় চলে যায় এবং ইয়াবা দিয়ে মামলা দেয়।

পরে সান্তনা ওই এএসআইকে বলেন, আমার বাবা ও মাকে মামলা দিলেন তাহলে আমার টাকা ফেরত দেন। এর উত্তরে এএসআই আনিছুর রহমান বলে ইয়াবা কিনতে টাকা লাগে। টাকা ফেরত দেয়া যাবেনা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত