ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্রের বৃত্তি পাওয়ার খবর গোপন, ফাঁসলেন প্রাথমিক শিক্ষিকা

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:০৬

প্রাথমিক শিক্ষিকার এ কেমন কাণ্ড!

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের আট মাস পর এক ছাত্র জানতে পেরেছে, সে বৃত্তি পেয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষকের ভুলের জন্যই এত দিন ধরে নিজের ফল জানতে পারেনি ওই ছাত্র।

ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান উপজেলার ফজলুর রহমানের ছেলে।

জানা য়ায়, ২০১৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়েছে গত ২৪ মার্চ। পুষ্পকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়েছে তিন শিক্ষার্থী। অথচ দুই শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে বলে ফলাফল ঘোষণা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন। তার বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীর ফলাফল গোপন করার অভিযোগ উঠেছে।

পুষ্পকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মীর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ৩-৪ দিন আগে ওই শিক্ষার্থী আশিকুর রহমানের বাবা ফজলুর রহমান আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি রেজাল্টের একটা কপি আমাকে দিয়ে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার ছেলের ফলাফল গোপন করেছেন। রেজাল্ট তালিকায় আমার ছেলে বৃত্তি পেলেও ফলাফল ঘোষণায় তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। ৮ মাস পর জানতে পারলাম আমার ছেলে বৃত্তি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আশিকুর রহমান খুব মেধাবী শিক্ষার্থী। সে বৃত্তি পাবে এমন ধারণা ছিল সবার। তবে ফলাফল ঘোষণার সময় তার নাম না থাকায় সকলে হতাশ হয়েছিল। পরবর্তীতে তার বাবা খোঁজ নিয়ে রেজাল্ট তালিকা বের করে দেখে সেও বৃত্তি পেয়েছে।

ঘটনাটি জানার পর কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন কি-না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

তবে এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী আশিকুর রহমানের বাবা কলারোয়া সদরের ভূমি অফিসের নায়েব ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পুষ্পকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন বলেন, বিদ্যালয় থেকে তাসনিয়া সুলতানা তিশা, রুপালী খাতুন ও আশিকুর রহমান বৃত্তি পেয়েছে। ফলাফল প্রকাশ হয়েছে চলতি বছরের ২৪ মার্চ। ফলাফলের সময় তিন শিক্ষার্থীর নামই ঘোষণা করা হয়। কোনো শিক্ষার্থীর ফলাফল গোপন করা হয়নি।

এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রণব কুমার বলেন, ৩-৪ দিন আগে ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তার জানতে চাওয়া হয়, বিদ্যালয় থেকে তিনজন বৃত্তি পেয়েছে তবে দুইজনের নাম ঘোষণা করা হলো কেন? তখন প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন জানান, এটা তার ভুল হয়েছে। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি (প্রধান শিক্ষক)।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আরও বলেন, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনকে তিরস্কার করা হলেও লিখিতভাবে কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত