দেশের উচ্চশিক্ষিতদের ৩৪ শতাংশই বেকার
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:০৫
দিন দিন বাংলাদেশে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার বাড়ছে। মাত্র ৭ বছরে এ হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। ধরন অনুসারে বেকারত্বকে বেশ কয়েকটি শ্রেণিবিভাগ করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে স্থায়ী বেকারত্ব, অস্থায়ী বেকারত্ব, সাময়িক বেকারত্ব, মৌসুমি বেকারত্ব ইত্যাদির কথা বলা যায়। যে ধরনের বেকারত্বই হোক, এ পরিস্থিতি ব্যক্তি তো বটেই; পরিবার, দেশ, জাতির জন্য একটি ভয়াবহ সমস্যা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের উচ্চশিক্ষিতদের ৩৪ শতাংশই বেকার। শিক্ষাজীবন শেষে কত সময়ের মধ্যে তরুণরা বেকার থাকেন, সে হিসাবও দেখিয়েছে বিআইডিএস।
তারা বলছে, শিক্ষা শেষে এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত বেকার থাকে ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ, দুই বছরের চেয়ে বেশি সময় বেকার থাকে ১৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বেকার থাকে ১৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও ছয় মাসের কম সময় বেকার থাকেন ৫০ দশমিক ৭৪ শতাংশ তরুণ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বছরে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করছেন, যাদের বড় অংশই বেকারের তালিকায় যোগ হচ্ছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, দেশে এখন উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর পরিকল্পনা পরিকল্পিত পরিবার, শিক্ষাব্যবস্থাকে কর্মের উপযুক্ত করে ঢেলে সাজানো, নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মূলধনের অভাব দূর করাসহ নিতে হবে নানাবিধ সমন্বিত উদ্যোগ।