ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মৃত্যুর আগে মাকে যা বলে গিয়েছিলো রুম্পা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৪৩

মৃত্যুর আগে মাকে যা বলে গিয়েছিলো রুম্পা

ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার লাশ উদ্ধারের পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও উত্তর মেলেনি অনেক প্রশ্নের।

রুম্পা মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে ধারণা পুলিশের। ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক বলছেন, মৃত্যুর আগে রুম্পা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এদিকে মেয়ে হারানোর শোকে কেঁদেই চলেছেন রুম্পার মা নাহিদা আক্তার পারুল। মেয়ের শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি।

কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘জরুরি কাজের কথা বলে গেল, ফিরল লাশ হয়ে। আমার মেয়েকে কত কষ্ট দিয়ে ওরা মেরেছে। মরার সময় মেয়েটা কতবার জানি, মা-মা বলে চিৎকার করেছে।’

মেয়ের কবরের সামনেই বসে অঝোরে কাঁদছেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবা মো. রুককুন উদ্দিন। স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দিয়েও কান্না থামাতে পারছেন না। দুদিন ধরে কিছুই খাননি। শারীরিকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা বলেন, ‘যার যায় সেই বুঝে। আমি মেয়ে হারাইনি, আমি আমার সর্বস্ব হারিয়েছি। কত কষ্ট করে মেয়েকে লালন-পালন করে বড় করেছি। সামনে কত সুন্দর ভবিষ্যৎ পড়েছিল তার। অথচ তার আগেই মেয়েকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হলো।’

রুম্পার মায়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি জানান, গত বুধবার টিউশনি শেষে বাসায় ফেরার পর রুম্পা বাইরে কাজ আছে বলে আবার বাসা থেকে বের হন। কিন্তু এরপর রাতে আর বাসায় ফিরেননি। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি।

বৃহস্পতিবার রুম্পার মা-সহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন। তিনি বারবার চিৎকার করে বলেন, ‘ইউনিভার্সটিতে ছাত্রছাত্রীদের শিফট আলাদা হওয়ায় দুদিন ধরে মেয়ের মনও খারাপ ছিল। তার সঙ্গে কারো বিরোধ ছিল কি, না তা বলতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ডিম ভাজি করে নিজ হাতে খাইয়ে দিয়েছি। এটাই যে শেষ খাওয়া কে জানতো? সন্ধ্যায় তার চাচাতো ভাই শুভর নিকট ব্যাগ-মোবাইল দিয়ে চলে যায়। বাসার দ্বিতীয় তলাও রুম্পা উঠেনি। এমন কী জরুরি কাজ ছিল? যার জন্য এতো দ্রুত ছুটে যায়। দিন-রাত অপেক্ষায় ছিলাম- এইতো মেয়ে ফিরবে-ফিরে আসবে। এলো লাশ হয়ে; আমার মেয়েকে কেন মেরে ফেলল, আমি বিচার চাই, বিচার চাই।’

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত