ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুর্ধর্ষ আসামিদের জন্য ভার্চুয়াল কোর্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:০১  
আপডেট :
 ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:০৬

দুর্ধর্ষ আসামিদের জন্য ভার্চুয়াল কোর্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

দুর্ধর্ষ আসামিদের আদালতে নেওয়ার ঝুঁকি কমাতে চালু করা হচ্ছে ভার্চুয়াল কোর্ট বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে বিচার বিভাগীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে যেতে বেগ পোহাতে হবে না। আসামিকে কারাগারে রেখেই চালিয়ে নেয়া যাবে বিচার কাজ।’

পিতার হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে নিজেদের অপেক্ষার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবারই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। আমরা চাই না স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আর কেউ বছরের পর বছর অতিবাহিত করুক।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। একের কাজে অন্যের হস্তক্ষেপ শান্তি ও ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল। খুনিকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়েছিল। হত্যাকারীদের নানাভাবে মদদ দেয়া হয়েছিল। হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি বিল জারি করা হয়। আমরা যারা ভুক্তভোগী ছিলাম আমাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ ছিল না। সেই সময় দেশে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে এমন অবস্থা ছিল।’

বিচার বিভাগের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, বিচার বিভাগ সেই অবৈধ সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে। এ সাহসী ভূমিকার জন্য বিচার বিভাগকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

সবারই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সকল নাগরিক যাতে আইগত সহায়তা পায় সেজন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা- ন্যাশনাল লিগাল এইড সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।’

ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও মামলার রায় লেখার বিষয় বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু ঘটনার দ্রুততম রায় দেয়ায় বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা বহুগুণ বেড়েছে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত