ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঝিনাইদহে রাস্তা মেরামতের কাজে শুভঙ্করের ফাঁকি

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৬

ঝিনাইদহে রাস্তা মেরামতের কাজে শুভঙ্করের ফাঁকি

ঝিনাইদহে খানা-খন্দে ভরা ১১ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ সওজ বিভাগ থেকে বার বার সতর্ক করা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো নির্দেশনা মানছে না।

অভিযোগ উঠেছে, সিডিউলে যে পরিমাণ মালামাল সরবরাহের কথা রয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যবহার করা হচ্ছে না। বালির পরিবর্তে বেলে মাটি, পাথরের পরিবর্তে নিম্মমানের পুরাতন ইট ভেঙে খোয়া হিসেবে রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। গুরত্বপূর্ণ এই সড়কের প্রতি কিলোমিটার মেরামত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা। কিন্তু যে নিম্মমানের মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে, তা অল্প দিনেই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে এ আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে আল হেরা স্কুল ও বাইপাস থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ২টি সড়কের ১১ কিলোমিটারের রাস্তার মেরামতের জন্য ২২ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করে। কাজটি পায় মেসার্স আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এই কাজে বেশি পরিমাণ বালি দেয়া হচ্ছে। পাথরের পরিবর্তে নিম্মমানের পুরাতন ইট ভেঙে ব্যবহার করা হচ্ছে। দ্রত গতিতে কাজ এগিয়ে গেলেও সড়ক বিভাগের দায়িত্বশীল কেউ কাজের সময় উপস্থিত থাকছেন না। ফলে যাচ্ছেতাই ভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সালাউদ্দিনের দাবি অফিসের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। কাজের মানও ভালো।

নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা মেরামতের ব্যাপারে পাগলাকানাই এলাকার বাসিন্দা ও জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সড়কের যে কাজ হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্মমানের। এত নিম্নমানের কাজ জীবনে কখনো দেখেনি।

এলাকার বাসিন্দা রিজু জানান, যেভাবে কাজ হচ্ছে তা বেশিদিন ঠিকসই হবে না। সরকারের টাকা পুরোপুরি গচ্ছা যাবে।

এ বিষয়ে এসও আহসানুল কবীর বলেন, রাস্তার কাজে তেমন একটা অনিয়ম হচ্ছে না। তারপরও যদি ল্যাব টেস্টে খারাপ রেজাল্ট আসে, তবে বিল পাবে না। নুতন করে কাজ করে দিতে হবে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার বলেন, প্রথম দিকে খোয়ার সাথে বালির মিশ্রন হচ্ছিল না। তাদেরকে বারবার বলেছি। কিন্তু কোনো কর্ণপাত করেনি। পরে তাদের চিঠি দিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত