ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাখিদের ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০৬

পাখিদের ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ

এক সময় দেশের গ্রাম থেকে শহর প্রতিটি জায়গায় শোনা যেত পাখিদের কলকাকলি আর কিচির মিচির শব্দ। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম এলাকায় কিছুটা শোনা গেলেও শহর এলাকায় তা স্বপ্নের মত। আর দেশীয় প্রজাতির পাখি চোখে দেখাতো কল্পনাতীত।

বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৃক্ষ সংকটের কারনে প্রকৃতি থেকে হঠাৎ করেই হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। ঠিক সেই সময়ে হারিয়ে যাওয়া পাখিদেরকে ফিরিয়ে আনতে পাখির অভয়াশ্রম তৈরি করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।

জেলা প্রশাসকের অফিস ভবন ও বাসার আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন গাছে গাছে মাটির কলসি বেঁধে দিয়ে পাখিদের জন্য তৈরী করেছেন নিরাপদ আবাসস্থল। মাটির ও বাঁশ-কাঠের তৈরি প্রায় অর্ধ শতাধিক বাসায় হারিয়ে যাওয়া দোয়েল-কোয়েল, ময়না-টিয়া, শালিক-শ্যামাসহ নানা প্রজাতির রঙ-বেরঙের পাখি গড়ে তুলতে পারবে নিজেদের আবাসস্থল।

পাখির বাসা স্থাপনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম। প্রথম পর্যায়ে গোপালগঞ্জ শহরে দু’শটি বাসা স্থাপন করা হবে। প্রথম দিনে অন্তত ৫০টি বাসা (হাড়ি) স্থাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার তত্বাবধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম এই ব্যতিক্রমী কাজ বাস্তবায়ন করছেন।

জানাগেছে, ঝড়-বৃষ্টিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে গাছ ভেঙ্গে পড়ায় পাখির বাসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ কারনে পাখি ডিম পাড়তে পারে না। যাও পারে সেই ডিম এবং বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বংশ বিস্তার কমে যাওয়ায় দেশীয় পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, আগের মতো শহর ও গ্রাম এলাকায় পাখি দেখা যায় না। বিভিন্ন সময় শিকারীরা পাখি শিকার করায় দিন দিন দেশীয় প্রজাতির পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই ফলদ গাছে মাটির হাঁড়ির বাসা স্থাপন করা হচ্ছে। শহর থেকে গ্রাম পযার্য়ে পর্যায়ক্রমে মাটির বাসা স্থাপন করা হবে। যাতে ঝড় বৃষ্টির সময় পাখিরা একটা নিরাপদ বাসা পায়। এতে আগের মতো পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠবে শহর-গ্রাম।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত