ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষীরা

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২২

পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষীরা

দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষীরা। পেঁয়াজ চাষীরা এখন অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বর্তমানে পেঁয়াজের গাছসহ বাজারে কেজি প্রতি ৬০/৭০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় পেঁয়াজ চাষীরা পেঁয়াজের চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। বর্তমানে বাজারে কাঁচা পেঁয়াজ বিক্রি করে পেঁয়াজ চাষীরা অধিক পরিমানে লাভবান হচ্ছেন।

দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বর্তমানে পেয়াঁজকে অধিক পরিমানে গুরুত্ব দেওয়ার কারনে পেঁয়াজ চাষীরা দল বেধে পেঁয়াজের জমিতে যত্ন করছেন। আগাছা পরিষ্কারসহ নিড়ানীতে বেশি গুরুত্ব প্রদান করছেন তারা। পেঁয়াজের জমিতে খুব বেশি রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। জৈব সার আর অল্প পরিমানে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলেই পেঁয়াজকে বাজারজাত করতে পারছেন চাষীরা।

স্বল্প সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারায় কৃষকেরা অধিক পরিমানে লাভবান হচ্ছেন। পেঁয়াজের অধিক চাহিদা থাকায় চাষীরা পেঁয়াজের গাছসহ বিক্রি করতে পারছেন। পেঁয়াজ চাষীরা দল বেধে পেঁয়াজের ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পেঁয়াজের ক্ষেতে তেমন বেশি সার প্রয়োগ করতে না হলেও নিড়ানীর কাজটা বেশি করতে হয়। দিনাজপুর জেলায় প্রায় ১৩টি উপজেলায় পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। তবে দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর, খানসামা, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুরে পেঁয়াজ চাষ বেশি হয়।

দিনাজপুর সন্দরবন ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষী অশ্বিনী কুমার রায় বলেন, আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছি। এখন পেঁয়াজের গাছসহ জমি থেকে বিক্রি করতে পারছি। বর্তমানে জমি থেকে গাছসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫/৭০ টাকা কেজি দরে। গত বছর এই আগাম জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করে তেমন লাভ না হলেও এ বছর পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় গাছসহ পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি।

একাই গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আবুল কালাম বলেন, এই আগাম জাতের পেঁয়াজ মাত্র ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যাচ্ছে। তবে এ বছর আগাম জাতের পেঁয়াজ ২০ শতক জমিতে আবাদ করেছি। পেঁয়াজ থেকেই পেঁয়াজ হওয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই পেঁয়াজ বাজারজাত করতে পারছি। তেমন বেশি কিছু খরচ হচ্ছে না। তবে এবার পেঁয়াজের বেশি দাম পাওয়ায় আগামীতেও আগাম জাতের পেঁয়াজ আবাদ করব।

দিনাজপুর সদর সুন্দরবন ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, সঠিক ভাবে পরিচর্যা আর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে দিনাজপুরে পেঁয়াজ চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। হয়ত গাছ পেঁয়াজ শেষ হওয়ার সাথে পেঁয়াজ চাষীরা বীজতলা পেঁয়াজ জমিতে রোপন করতে শুরু করবে। এতে করে দেশে পেঁয়াজের অধিকাংশ চাহিদা লাঘব হবে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তৌহিদুল ইকবাল বলেন, দিনাজপুরে এ বছর ২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্র র্নিধারন করা হয়েছে। তবে আগাম জাতের পেঁয়াজ অর্থাৎ পেঁয়াজ থেকে পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে ৪ শত হেক্টর জমিতে। এ বছর পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় পেঁয়াজ চাষীরা পেঁয়াজ চাষে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি উপ সহকারী কর্মকর্তারা পেঁয়াজ চাষ করার জন্য চাষীদেরকে বিভিন্ন পর্রামশ প্রদান করছেন।

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, বর্তমানে চাষীরা যেভাবে পেঁয়াজ চাষে আগ্রাহী উয়ে উঠছেন এতে করে আগামীতে দেশের পেঁয়াজের চাহিদা স্থানীয় পেঁয়াজ চাষীরা সহজেই পূরণ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত