রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের: অ্যামনেস্টি
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই গ্রহণ করতে হবে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক শরণার্থী ফোরামের বৈঠকের আগে এই বিবৃতি দিল সংস্থাটি।
দু'বছরেরও বেশি সময় আগে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ৫ লাখ শিশুই এখনো ক্লাসরুম পর্যন্ত পারেনি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের যেহেতু খুব শীঘ্রই দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাই তাদের ভবিষ্যতের বিষয়টি চিন্তা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই তাদের শিক্ষার দায় নিতে হবে।
সাদ হাম্মাদি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিশুরা যেখানে রয়েছে, সেখানে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত হয়ে নিজেদের ভবিষ্যত হারিয়ে যেতে দেখবে। এর ফলে ক্রমে তারা হারিয়ে যাওয়া একটি জনগোষ্ঠীতে পরিণত হতে পারে।’
অক্টোবর মাসে ইন্টার সেকশন কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের চালানো এক জরিপে উঠে আসে যে শরণার্থী শিবিরের ১৩১১টি রোহিঙ্গা পরিবারের এক তৃতীয়াংশেই অন্তত একজন প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্কুলগামী বয়সী শিশু রয়েছে, যে স্কুলে যায় না।
শরণার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের ওপর যেসব বিধিনিষেধ বর্তমানে রয়েছে তা তুলে নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নিজেদের পদক্ষেপ শুরু করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন সাদ হাম্মাদি।
এ মাসের শুরুতে ক্যাম্পের বাইরের স্কুলে রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখা করার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় ওয়াশিংটন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকেও।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএ/
