৭ দিনে বিক্রি ২৫ হাজার টাকার পতাকা!
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৪৭
লিটন মাতুব্বরের বয়স ৩৫ বছর। পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। ৫ মেয়ে সন্তানের পিতা তিনি। এক সপ্তাহ তার নিজের পেশা ছেড়ে শুরু করেছেন জাতীয় পতাকা বিক্রি। এক সপ্তাহে লাভ করেছেন প্রায় ২৫ হাজার টাকা। দুদিন ধরে কুষ্টিয়া শহরের অলিগলি ঘুরে বিক্রি করেন লাল সবুজের জাতীয় পতাকা।
শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পাইলট মাধ্যমিক ফুটবল মাঠে দেখা যায় পতাকা বিক্রি করতে। কথা হয় লিটন মাতুব্বরের সাথে। লিটন ঢাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম ইদ্রিস আলী মাতুব্বর। ১ সপ্তাহ ধরে তিনি বিক্রি করছেন এই পতাকা।
তিনি বলেন, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস এলেই পতাকা বিক্রি করে সংসারে একটু বেশিই স্বচ্ছলতা আনা সম্ভব হয়। তাই ফেরি করে পতাকা বিক্রি করতে চলে আসি ঢাকার বাইরে জেলা শহরে। এখানকার হোটেলে রাত্রিযাপন করি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সাইজ ও দামের জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। বড় পতাকা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মাঝারি পতাকা ৫০-৬০ টাকা, ছোট পতাকা ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং হাত পতাকা ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করেন। জাতীয় দিবসগুলোতে পতাকা ভালোই বিক্রি হয়। এসময় দিনে গড়ে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার পতাকা বিক্রি হয়। ছোট-বড় অনেকে বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা কিনছেন।
আশরাফুল আলম হীরা নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। বিশেষ দিনটিকে সামনে রেখেই পতাকাটি কিনলাম। এসব দিনে পতাকা না কিনলে ভালো লাগে না।’
পতাকা কিনছিলেন মতিয়ার রহমানও। তিনি বলেন, ‘চলছে বিজয়ের মাস, এ মাস আসলেই আমি নতুন পতাকা কিনে থাকি।’
শহীদ দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস এসব দিনগুলোতে মানুষ বাড়ির ছাদ ও গাড়ির সামনে জাতীয় পতাকা টাঙিয়ে রাখেন। অফিস ও প্রতিষ্ঠানেও টাঙানো হয় জাতীয় পতাকা। তাই এসব দিনগুলোকে সামনে রেখে জাতীয় পতাকা বিক্রিরও ধুম পড়ে যায়। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অন্য পেশা ছেড়ে মৌসুমী পতাকা বিক্রেতা হিসাবে পতাকা বিক্রি করে লিটনের মতো অনেকেই।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ
