ঢাকা, রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানদের অভিনব ‘প্রতিবাদ’

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৪

উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানদের অভিনব ‘প্রতিবাদ’

রাজবাড়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল ধরনের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজবাড়ীর ৫ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। রোববার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তারা।

তবে, আগামীকালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারা এবং পরবর্তিতে তাদের দাবি মানা না হলে প্রশাসনের কোনো অনুষ্ঠানে তারা অংশগ্রহণ করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীতে নিজ নিজ দ্বায়িত্বে তারা আলাদাভাবে এইসব অনুষ্ঠান পালন করবেন।

রোববার সকাল ১১টার দিকে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের নিচ তলায় রাজবাড়ী কন্ঠ পত্রিকা অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে উপজেলা চেয়ারম্যানরা এ কথা জানান।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৫ উপজেলা চেয়ারম্যান সভাপতি অ্যাড. ইমদাদুল হক বিশ্বাস।

এ সময় বালিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পাংশার ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালীর আলিউজ্জামান টিটো চৌধুরী ও গোয়ালন্দের উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আসাদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যে চেয়ারম্যানরা উল্লেখ করেন, উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত হওয়ার কথা জনগণের প্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যানদের দ্বারা অথচ উপজেলার সকল কাজ পরিচালিত করা হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের আমলাদের দ্বারা। এ অনিয়ম থেকে তাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। না হলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কোনো কাজে চেয়ারম্যানরা যাবেন না। ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের উপজেলা প্রশাসনের ছাপানো চিঠিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণের নাম দেয়া হয়নি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে চেয়ারম্যানদের সাথে কোনো আলোচনা করেননি। এখানে উপজেলা প্রশাসন নিজেদের মতো করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন।

বিজয় দিবসে উপজেলা চেয়ারম্যানরা রাষ্ট্রীয় সালাম গ্রহণ করবেন, যা কেবিনেটের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমন্ত্রণ পত্রে চেয়ারম্যানদের নামই দেয়া হয়নি। ১৭টি হস্তান্তরিত বিভাগের ফাইল উপজেলা চেয়ারম্যানদের চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার কথা থাকলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের পর্যন্ত এসে ফাইল ফেরত চলে যায়। এ বিষয়েও কোনো অনুমোদন নেয়া প্রয়োজন মনেই করেন উপজেলা প্রশাসন।

অভিযোগ রয়েছে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা, উন্নয়ন সমন্ময় সভাসহ বিভিন্ন সভায় তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না এবং সেখানে থাকে না কোনো বসার ব্যবস্থা। নিজেদের মত করে তারা পরিচালনা করেন। এসব বিষয়ের কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সকল ধরনের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন তারা। তবে আগামীকালকের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অনুষ্ঠানে যাবেন।

এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের অধিনস্থ জমি মিউটেশনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এতে করে সাধারণ জনগণ হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। মিউটেশন ও জমি জমা বিষয়ে এসিল্যান্ডদের অপারগতার কথাও বলেন বক্তারা। উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে ইটের ভাটা, চালের ডিলার, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, হাট-বাজারসহ নানান স্থান থেকে অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা নেন, কোনো অনুষ্ঠান করতে কেনো চাঁদাবাজি করতে হবে এসব বিষয়ে তারা কথা বলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত