ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

শোভাযাত্রা নিয়ে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, আহত ২০

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৭  
আপডেট :
 ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৫০

শোভাযাত্রা নিয়ে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, আহত ২০

মহান বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা বের করা নিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা বেলা ১১টার দিকে একটি বিজয় শোভাযাত্রা বের করে।

একই সময়ে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগও একটি বিজয় শোভাযাত্রা বের করে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনির নেতৃত্বে এ শোভাযাত্রা বের হয়।

শোভাযাত্রাটি ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের কাছাকাছি পৌঁছালে দুই গ্রুপ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এরপরেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হলে তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এর মধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল মতীন, মতলেব হোসেন, আবু সাঈদ ও ইলিয়াস হোসেন নামের চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, বিজয় র‌্যালিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কেউ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ হামলা করতে পারে না। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই এই ন্যক্কারজনক হামলা করেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল বলেন, মহান বিজয় দিবসে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিজয়র‌্যালিতে ঈশ্বরদী থানার ওসিসহ পুলিশ যেভাবে লাঠিচার্জ করেছে তা ন্যক্কারজনক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের কারণে দু’টি পৃথক বিজয়র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত