‘গোলাগুলিতে’ মাদক কারবারি নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ সৈয়দ আলম (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল হতে ৪০ হাজার ইয়াবা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তূজ উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১২ জুলাই) ভোর রাতে টেকনাফ স্থল বন্দর সংলগ্ন দমদমিয়া বিওপির ১৪ নং ব্রীজের নিকটবর্তী কেয়ারী খালে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিজিবির দাবি, নিহত যুবক মাদক পাচারকারী।

তৃতীয় দিনেও প্রতিবাদে উত্তাল চুয়েট, বাসচালক গ্রেপ্তার

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভোর রাত ২ টার দিকে ওই স্থান দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হয়ে দেশে প্রবেশের সংবাদে বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল কৌশলগত অবস্থান নেয়।

সেখানে দুইজন ব্যক্তি সন্দেহজনক ঘুরাঘুরি করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে অপর এক ব্যক্তি মিয়ানমার হয়ে নাফ নদী সাতরিয়ে তীরে প্রবেশ করে তিনজন একত্রিত হয়।

এ সময় টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলেই বিজিবির উপর গুলি বর্ষণ করে পাচারকারীরা। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হলে সরকারি জান মাল রক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুড়ে। তিন চার মিনিট গুলি বিনিময় হয়। আশে পাশের কৌতুহলী জনসাধারণ এগিয়ে আসলে গুলি করতে করতে পালিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা।

ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৪০ হাজার ইয়াবা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তূজসহ একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে বিজিবি। আহত ব্যক্তিকে দ্রুত টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে পৌছলেই কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমান মৃতদেহটি মর্গে রয়েছে।

মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, তিনি মূলত মিয়ানমার নাগরিক বিগত ১০ বছর পূর্বে সৌদি আরব হতে বাংলদেশে প্রবেশ করতঃ টেকনাফে বসবাস করে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিলেন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জাানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম