ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘মন্ত্রী-এমপি, ডিসি-এসপি সব আমার নিয়ন্ত্রণে চলে’

  গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৫৪

‘মন্ত্রী-এমপি, ডিসি-এসপি সব আমার নিয়ন্ত্রণে চলে’
গাইবান্ধার স্থানীয় ‘আশার আলো প্রভাতি সংস্থার চেয়ারম্যান ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সাজু।

গাইবান্ধার স্থানীয় ‘আশার আলো প্রভাতি সংস্থা’র চেয়ারম্যান ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সাজু দাবি করেছেন, দেশের মন্ত্রী, এমপি এবং গাইবান্ধার ডিসি, এসপি সবই তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, কোনো এমপি, মন্ত্রী তার সঙ্গে টিকে থাকতে পারবে না।

তিনি বলেছেন, ‘গাইবান্ধা জেলার ডিবি (পুলিশ), ওসি, এসপি, ডিসিসহ যতো বড় কর্মকর্তাই থাকুক সব আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে। সাত উপজেলায় এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান যতো কিছুই থাক না কেন, আমার চেয়ে বড় মাইকেল কেউ নেই। চ্যালেঞ্জ দিলাম, কোনো এমপি, মন্ত্রী যদি আমার সঙ্গে টিকে থাকতে পারে তাহলে সংস্থা থেকে বহিষ্কার (পদত্যাগ) হয়ে যাব।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ডাকবাংলা বাজারে এক কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব দাবি করেন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সাজু। ‘আশার আলো প্রভাতি সংস্থা’র চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যকে ঔধত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনেকেই।

শুক্রবার কর্মী সমাবেশে শফিকুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘আমার এক লাখ সদস্য। আমি তাদের একবার করে চাল দিতে গেলে দেড় কোটি টাকা লাগে। সরকার শিক্ষা ভাতা ৬ মাসে দেয় ৩০০ টাকা, আমি দেই ৯০০ টাকা। কম দিচ্ছি নাকি? আমার মতো ৬৪ জেলায় ৬৪ জন ছেলে জন্ম নিলে দেশে এমপি, মন্ত্রী বা সরকার লাগত না।’

সাঘাটা-ফুলছড়ি এলাকায় তাকে কাজ করতে সরকার অনুমতি দিয়েছে বলেও দাবি করেন সাজু। এরপর তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ করে হলেও আমি জনসেবা করব। কোথাও কেউ আমার কোনো কর্মীর কাজের প্রতিবাদ করলে তোমরা আমাকে অবগত করবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের তুলে আনব। অন্যথায় ক্ষমতা ছাড়ব।’

অনুষ্ঠানের ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার নাম ছিল। কিন্তু তিনি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। শফিকুল ইসলাম সাজুর এমন সব বক্তব্যের সময় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ও আশার আলো প্রভাতি সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের আসলাম প্রধান, আব্দুল মতিন, সংস্থার বাদিয়াখালী শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান, সুন্দরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার মাহতাব, জুমারবাড়ী শাখার ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম।

সংস্থাটির চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যের বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, ‘এ এনজিওকে আমরা চিনি না। আমি সাঘাটার ইউএনওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলব।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশার আলো প্রভাতি সংস্থাটি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে অবস্থিত। সমাজসেবা অফিস থেকে এই এনজিওকে কোনো লাইসেন্স দেয়া হয়নি। লাইসেন্সবিহীন এনজিওটি জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ, চাল, ঢেউটিনসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণের নামে ভর্তি ফি বাবদ ৫২০ টাকা এবং মাসিক সঞ্চয় হিসেবে ৫০ টাকা নিয়ে আসছে। এসব সঞ্চয়ের টাকা সংগ্রহে এনজিওটি কয়েকশ কর্মী জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নিয়োগ দিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত