ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

মিন্নির মৃত্যুদণ্ড, যা বললেন বাবা

  বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:১৫  
আপডেট :
 ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:৩৭

মিন্নির মৃত্যুদণ্ড, যা বললেন বাবা

বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর মিন্নির বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমাদের প্রতি, মিন্নির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।’

মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ

এর আগে বেলা সোয়া একটায় বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান আদালতে রায় পড়া শুরু করেন। এ মামলায় কারাগারে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে আদালতের এজলাসে উঠানো হয়।

এর আগে আজ বুধবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে হাজির হন নিহত রিফাতের স্ত্রী ও এ মামলার অন্যতম আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

বেকসুর খালাস পাবে মিন্নি, বললেন বাবা

এসময় মামলার রায়ে মিন্নি বেকসুর খালাস পাবে বলে প্রত্যাশা করেন বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আমরা আসলেই হয়রানির শিকার। জীবন বাজি রেখে মিন্নি তার স্বামীকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। মিন্নি প্রথমে স্বামী হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল। পরে তাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। যা খুবই কষ্টকর।’

ডিগ্রি ১ম বর্ষের ৭ বিষয়ের চারটিতেই ফেল মিন্নি

কিশোর বলেন, ‘মিন্নির আইনজীবীরা যে যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন করেছেন সেই যুক্তি খণ্ডন করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছেন। মিন্নি যে নির্দোষ এটা আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন আইনজীবীরা। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাবে মিন্নি।’

মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, ‘মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে মিন্নির উপস্থিতিতে কলেজের শহিদ মিনারে হত্যার পরিকল্পনার যে মিটিংয়ের কথা বলা হয়েছে, সেখানে মিন্নি ছিল না। আহত রিফাত শরীফকে মিন্নি হাসপাতালে নিয়ে গেছে। কিন্তু সে বিষয়টি চার্জশিটের কোথাও নেই।’

পিকনিকের আড়ালে নয়নের সঙ্গে হোটেলে রাত কাটিয়েছিলো মিন্নি

তিনি বলেন, ‘যদি কেউ কাউকে খুনের পরিকল্পনা করে তাহলে সে কখনো তাকে বাঁচাতে যায় না। মিন্নি যেভাবে রামদার নিচে গিয়ে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে এবং পরে রিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে; এতেই বোঝা যায় মিন্নি নির্দোষ। মিন্নি কোনোভাবেই হত্যায় জড়িত নয়। আমরা মনে করি, আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তাই আশা করছি মিন্নি বেকসুর খালাস পাবে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত