টাকার কুমির সেই কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২০, ০৯:০৬
ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের নামে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ মো. জলিল (৪৮)।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা একটার দিকে ফরিদপুর শহরের রেলস্টেশন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া শেখ মো. জলিল ফরিদপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর। আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন তিনি।
জলিলের বিরুদ্ধে টেপাখোলা গরুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা আছে। ওই মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রেলওয়ের জমি দখল করে নিজে ব্যবহার করা ও ভাড়া দেয়ারও অভিযোগ আছে।
জলিলের ভাই ফরিদপুর চেম্বারের সভাপতি সিদ্দিক শেখকেও এই মামলায় খুঁজছে পুলিশ। সিদ্দিক শেখ ফরিদপুর রেলস্টেশনসংলগ্ন রেলক্রসিংয়ের উত্তর পাশে রেলের প্রায় দুই একর জমি অবৈধভাবে দখল করে পাথরের ব্যবসা করছেন। এ কাজের তদারকি করছিলেন জলিল।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘বরকত-রুবেলের নামে করা অর্থ পাচার মামলায় ঢাকার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চাওয়া অনুযায়ী শেখ মো. জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার সিআইডি তাকে কারাগার থেকে তাদের হেফাজতে নেবে।’
মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পশ্চিম বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি ঢাকার সহকারি পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বরকত-রুবেলসহ অর্থ পাচার মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শেখ জলিলকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গত ৭ জুন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে ঢাকার কাফরুল থানায় দুই হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলের নামে মামলা করেন।
আরো পড়ুন
সরকারি অফিসে শোবার ঘর, বিছানার নিচে টাকা আর টাকা
হিজড়াকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ!
‘১৫ টাকা সিট ভাড়া আর ৩৮ টাকার খাবার খেয়ে লাফালাফি করে’
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ