ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

৫৯ বীর মুক্তিযোদ্ধার বিক্ষোভ মিছিল

  ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৩:১২

৫৯ বীর মুক্তিযোদ্ধার বিক্ষোভ মিছিল
৫৯ বীর মুক্তিযোদ্ধার বিক্ষোভ মিছিল, ছবি- প্রতিনিধি

ঢাকার ধামরাই উপজেলার ৫৯ জন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা গেজেটে না উঠার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। সোমবার ধামরাই বাজারে অবস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

তাদের দাবি, সরকার নির্ধারিত মন্ত্রণালয় থেকে দুইটি যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হওয়ার পরও ৫৯ জনের নাম গেজেটে উঠেনি। যার ফলে তারা ভাতা সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘কেউ ভারতের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আবার কেউ বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকারি ভাতার জন্য তারা দেশ স্বাধীন করেননি। তারপরও বর্তমান সরকার যেহেতু মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন সেহেতু তারা সেটা গ্রহণ করতে চান।’

মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম, জসিম উদ্দন, মহিউদ্দন, সামছুল আলম, ফজলুল হক, আফাজ উদ্দিন, মৃত নুরমুহাম্মদসহ ৫৯ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম ২০১৪ সালে গেজেটে উঠেনি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ পড়লেও সে সময় অনেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে শুরু করে।

এ নিয়ে সে সময় সারাদেশে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধারা।

পরে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা করার জন্য ২০১৭ সালে সরকার নির্ধারিত স্থানীয় এমপিকে সভাপতি করে ৫ সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করে। ওই যাচাই-বাছাই কমিটিতে ৫৯ জনের নাম প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত হয়।

এরপর ২০১৯ সালে সরকার মুক্তিযোদ্ধাকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব ও জেলা প্রশাসককে সদস্য করে তিন সদস্য একটি যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিতেও ৫৯ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হয়। তারপরও গেজেটে তাদের নাম সংযোজন না হওয়ায় সরকারি ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা এখন বঞ্চিত।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের ট্রেনিং শেষ করে যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। সরকার নির্ধারিত দুইটি যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাও প্রমাণিত হয়েছি। অথচ গেজেটে আমার নাম নেই।’

মুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন খাঁন বলেন, ‘এ ব্যাপারে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গেজেটে তাদের নাম উঠানো এবং ভাতা দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে আদেশ দেন। তারপরও তাদের নাম গেজেটে উঠেনি।’

‘গেজেটে নাম না থাকার প্রতিবাদে তাদের এমন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে’ বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত