ধর্ষণের সময় চিৎকার করায় শিশুকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:১২
রংপুরে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এক নারীকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের দিনমজুর শাজাহান আলীর মেয়ে তানজিলা খাতুন চুমকি স্থানীয় দুরামিঠিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির পাশে খেলছিল চুমকি। এ সময় প্রতিবেশী মমিন প্রধানের ছেলে রিয়াদ প্রধান (তৎকালীন বয়স ২০) আম খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে ধরা পড়ার ভয়ে আসামি রিয়াদ তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির গৃহকর্মী ধলি বেগমের (তৎকালীন বয়স ৫০) সহায়তায় সিমেন্টের বস্তায় ভরে খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখেন।
এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও মেয়ে বাড়িতে না আসায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে চিন্তা বাড়তে থাকে। সন্তানের খোঁজে ওই দিন রাত থেকে এলাকায় মাইকিং করেন শাজাহান।
এক পর্যায়ে ১৭ জুন সকালে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাড়ির খাটের নিচ থেকে চুমকির মরদেহ উদ্ধারসহ আসামি রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর পালিয়ে যান ধলি বেগম। বেশ কিছুদিন পর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার তদন্ত শেষে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
৪ বছর বিচারাধীন থাকার পর মঙ্গলবার এর রায় ঘোষণা করা হয়। এতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ছাড়াও এক লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কাজী মাহফুজুল ইসলাম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওছার আলী সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ