ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

নামাজ পড়ে দিন পার করছেন সেই ঐশী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২১, ০৯:৪৮

নামাজ পড়ে দিন পার করছেন সেই ঐশী
যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামি ঐশী রহমান। ফাইল ফটো

রাজধানীর চামেলীবাগে নিজের বাসায় বাবা পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও মা স্বপ্না রহমানকে হত্যাকারী ঐশী রহমানের কথা মনে আছে? বাবা-মাকে খুনের দায়ে আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া সেই ঐশী এখন গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি।

কীভাবে তার একাকী সময় কাটে ওই ছোট্ট প্রায়ান্ধকার প্রকোষ্ঠে। কারা কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, পবিত্র রমজান মাসে নিয়মিত রোজা রেখেছেন ও নামাজ পড়ে দিন পার করেছেন ঐশী। এছাড়াও নানা ধরনের বইপত্র পড়ে সময় কাটান এ বন্দি তরুণী। কিছুদিন আগে তাকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়তেও দেখা গেছে।

ঐশী যখন তার বাবা-মাকে হত্যা করে তখন সে নেশাসক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছিল। নির্বিবাদে নেশা করার জন্যই কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এবং পরে কুপিয়ে হত্যা করে বাবা-মাকে। সেই নেশা এখন আর নেই ঐশীর মধ্যে। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন তিনি। তবে এখন সে অনেক চুপচাপ থাকেন।

এ ব্যাপারে কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলার হোসনে আরা বিথি জানান, কারাগারে ঐশী ভালোই আছে। এখন চুপচাপ থাকে। নামাজ-কালাম পড়ে সময় কাটে তার। এছাড়া কিছু বইপত্র পড়ে। কিছুদিন আগে কারাগারের রোজনামচা বইটি পড়তে দেখেছি ঐশীকে।

পরিবারের কেউ খোঁজখবর নিতে আসে কি না জানতে চাইলে এই জেলার বলেন, করোনার কারণে বর্তমানে দেখা সাক্ষাৎ একেবারেই বন্ধ। তাছাড়া আমি এখানে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের কাউকে আসতে দেখিনি।

তিনি আরো জানান, ঈদের দিনে আমাদের কারাগারের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকে। সকালে সেমাই খেতে দেয়া হয়েছিলো। এছাড়া দুপুরে ছিল গরুর গোশত পোলাও আর সালাদ। রাতে ছিলো রুই মাছ ভাত সবজি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েদিদের নতুন পোশাকও দেয়া হয়েছিলো।

‘কারাগারে বসে কেউ চাইলে তিন মিনিট তার পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাও বলতে পারে। ঐশীও চাইলে সেই সুযোগটি নিতে পারে’ বলে জানান জেলার হোসনে আরা।

বাবা-মাকে হত্যার দায়ে ২০১৫ সালে ঐশীকে ফাঁসির আদেশ দেয় বিচারিক আদালত। তার বন্ধু রনির সাজা হয় দুই বছরের কারাদণ্ড। পরে আপিলে ২০১৭ সালের ৬ জুন উচ্চ আদালত ঐশীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে। সেই থেকে ঐশী স্থায়ীভাবে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আছেন।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট সকালে চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই ঐশী বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

পরদিন ১৭ আগস্ট মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিনই ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে তার বাবা-মাকে খুন করার কথা জানায়।

২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ঐশী। তবে পরে ওই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু সাক্ষ্য, আলামত ও অন্যান্য যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তা নাকচ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন

যে ৫ কারণে ফাঁসির আদেশ থেকে রেহাই পেলো ঐশী

ঐশীর বাবা-মা হত্যা মামলায় গৃহকর্মী সুমির খালাস

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত