ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের মানবেতর জীবনযাপন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২১, ১৪:৫২

সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের মানবেতর জীবনযাপন
জাল আর নৌকা নিয়ে অলস সময় পার করছেন মোরেলগঞ্জের জেলেরা। ছবি: সংগৃহীত

গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সমুদ্রগামী জেলেরা মানববেতর জীবন যাপন করছে। অন্য কোনো পেশায় সুযোগ না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা অলস সময় পার করছে।

উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব চন্ডিপুর পশুরিপাড়া, খাউলিয়ার আমতলী, কুমারখালী, সন্ন্যাসী মধ্য বরিশাল, ফাসিয়াতলা, সদর ইউনিয়নের গাবতলা, বলইবুনিয়ার শ্রেণিখালী, বারইখালীর কাশ্মীর, পুটিখালীর সোনাখালী, গজালিয়া ও পঞ্চকরন ইউনিয়নের কুমারিয়া জেলার জেলে পল্লীসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে হাজার হাজার জেলে পরিবার।

সমুদ্রগামী গাবতলা গ্রামের রুবেল হাওলাদার, রাজিব তালুকদার, রুমান তালুকদার, ইব্রাহিম শেখসহ একাধিক জেলে জানায়, সরকারিভাবে জনপ্রতি ৮৬ কেজি চাল পেলেও তাতে তাদের সংসার চলে না। বিকল্প পেশায়ও যেতে পারছেন না। ৬৫ দিন সাগরে তাদের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। কোনো কাজ না থাকায় বাড়িতে বসে জাল বুনছে, নৌকা মেরামত করছেন। ধার দেনা করে সংসার চলছে।

উপজেলায় নিবন্ধনকৃত মৎস্য জেলে রয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৬৪৩ জন। এদের মধ্যে সাগরে মাছ ধরা নিয়োজিত পেশাদার জেলে ৩ হাজার। ঝাটকা আহরণকারী রয়েছে ৩২শ’ জেলে। সরকারিভাবে সুবিধাভোগী জেলেরা ভিজিএফ’র আওতায় ৬৫ দিনে জনপ্রতি ৮৬ কেজি করে চাল এবং ঝাটকা আহরণকারীরা ৪ মাসে ১৬০ কেজি করে চাল পাচ্ছে।

উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন শেখ বলেন, মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নিবন্ধিত মৎস্যজীবীদের সন্তান ও পোষ্যদের জন্য ১০ শতাংশ কোঠা সংরক্ষণ, প্রশিক্ষিত ব্যক্তিকে জামানতবিহীন সুদ মুক্ত লোন প্রদানের ব্যবস্থা করা, জেলা উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, উপকূলীয় অঞ্চলসহ সকল চরাঞ্চল এলাকায় মৎস্য পল্লী নামে আবাসন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলাসহ ১১ দফা প্রস্তাবনা সরকারের মৎস্য দপ্তরে প্রণয়ন করা হয়েছিলো। এর মধ্যে দু’একটি বাস্তবায়ন হলেও বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। এ দাবি বাস্তবায়ন হলে মৎস্যজীবীদের সামাজিক অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা থেকে বিরতকালীন জেলেসহ সকল সুবিধাভোগী জেলেদের সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ’র চালের পরিমাণ বৃদ্ধি প্রস্তাবনার তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি উপকরণসহ আনুষঙ্গিক খরচ জোগান দিতে নগদ অর্থ প্রদানেরও পরিকল্পনা করছে মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত