ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকসহ তিন স্কুলের মাঠে প্রভাবশালীদের চাষাবাদ

  ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২১, ১৯:১০

প্রাথমিকসহ তিন স্কুলের মাঠে প্রভাবশালীদের চাষাবাদ
স্কুলের মাঠে চলছে চাষাবাদ।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় তিনটি স্কুলের মাঠে পুরোদমে শুরু হয়েছে চাষাবাদ। অভিযোগ উঠেছে, এ কাজগুলো করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। আর এতে সহযোগীতায় রয়েছেন খোদ প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি।

স্কুল তিনটি হল- উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুরের ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফিরোজা মজিদ বিদ্যালয় ও ৩১ দক্ষিণ রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রয়াত সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে মো. মোশারফ আলী হাওলাদার ট্রাকটার দিয়ে দক্ষিণ রাজাপুরের ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে চাষ করেছেন।

এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মাঠে এসে খেলাধুলা করতো। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। টাকা নিয়ে স্কুলের মাঠ ভাড়া দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মোশারফ আলী হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি জমি চাষ করছেন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছ থেকে নগদ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম স্কুলমাঠ চাষ করার অনুমতি নিয়েছেন।’

এদিকে দক্ষিণ রাজাপুরের ফিরোজা মজিদ বিদ্যালয়ের মাঠেও একই অবস্থা। সেখানেও বীজতলা তৈরির অনুমতি দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই মাঠেও চাষাবাদ করে ধানের বীজ বপন করা হয়েছিল। এখন সেই বীজ ধানে রূপান্তরিত হতে শুরু করেছে।

এ বিষয়ে ফিরোজা মজিদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আলম বলেন, স্কুলের দপ্তরি আমার অনুমতি নিয়েই বীজতলা তৈরি করেছে। এখন স্কুল বন্ধ তাই অনুমতি দিয়েছি।

অপরদিকে ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, সব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি জানে।

ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আলিম আল মাসুদ জানান, এখনতো স্কুল বন্ধ, মাঠে বীজতলা তৈরি করলে এর সুবিধা কোন না কোন ভাবে সবাই ভোগ করবে।

এ ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, স্কুলের খেলার মাঠে বীজতলা তৈরির কোন বিধান নেই। যদি কেউ করে থাকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত