ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাইশার হত্যার বিচার দাবিতে উলিপুরে মানববন্ধন

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৫৭

মাইশার হত্যার বিচার দাবিতে উলিপুরে মানববন্ধন
মানববন্ধনে স্থানীয়রা। ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম সদরের ভেলাকোপা এলাকার শিশু মারুফা জাহান মাইশার আঙুল রেখে পেটে অস্ত্রপাচার করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলার উলিপুর উপজেলার মসজিদুল হুদা মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। এতে ফেন্ডস ফেয়ার, সামাজিক ষংগঠন ‘নারী’, সাতরঙ সামাজিক সংগঠন ও আরও কয়েকটি সংগঠনসহ বিভিন্ন পেশাজীবির মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, উলিপুর বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর মর্জিনা বেগম, নারী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমীন, মাসুম করিম, মতলেবুর রহমান মঞ্জু, মাহফুজুর রহমানসহ অনেকে।

বক্তারা অভিযোগ করেন, শিশু মাইশাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। অনিবন্ধিত হাসপাতালে তাকে নিয়ে আঙুলের অপারেশন করার নামে তাকে হত্যা করেছে তারা। এ সময় ঢাকারর রূপনগর থানায় মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগও তোলেন বক্তারা। এ ঘটনায় দ্রুত আইনি পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছয় বছরের মেয়ে মাইশার ডান হাতের আঙুল সার্জারি করার কথা হয়। ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়দানকারী ডা. মো. আহসান হাবীব ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে সার্জারি করতে ৩০ নভেম্বর সকালে মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় মাইশা। পরে তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দেয়ার কথা বলে পাশের গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেয়ার পর জানানো হয় মাইশার মৃত্যুর খবর। কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই ডা. আহসান হাবিব ও ক্লিনিকের লোকজন এ্যাম্বুলেন্স ডেকে জোর করে মরদেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়িতে মরদেহের গোসল করানোর সময় দেখা যায় শিশুটির তলপেট অপারেশ করা। সেখানে ২০টি সেলাই দেয়া হয়েছে। রাতে সদর থানা পুলিশকে জানিয়ে শিশুটিকে বাড়ির আঙিনায় দাফন করে স্বজনরা।

গত ৪ ডিসেম্বর (রোববার) সংশ্লিষ্ট আলম মেমোরিয়াল হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার রুপনগর থানায় অভিযোগ করেছেন শিশু মাইশার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন। কিন্তু থানার ওসি মামলা নেননি। অভিযোগ পরিবর্তনের জন্য অভিযোগকারীকে জোর করা হয় বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত