ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

দু’চোখ ভরা স্বপ্ন ছিল স্কুলে যাওয়ার

  সাব্বির হোসেন, সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:২৩  
আপডেট :
 ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৩২

দু’চোখ ভরা স্বপ্ন ছিল স্কুলে যাওয়ার
নাজমুল। ছবি: প্রতিনিধি

দুচোখ ভরা স্বপ্ন ছিল সমবয়সীদের সাথে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করবে নাজমুল। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় নেমে আসে এক অন্ধকার। অসুস্থ বাবা ও পরিবারের যোগান দিতে গিয়ে বন্ধ হয়ে গেল অদম্য চোখে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখা ১২ বছর বয়সী নাজমুলের।

পড়াশোনার ইচ্ছা থাকলেও বাস্তবতাকে মেনে প্রতিদিনই বের হতো হয় জীবিকার তাগিদে মাথায় থালা ও হাতে বালতি নিয়ে। ঘুরে বেড়াতে হয় সাভারের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সারাদিনের ঘামঝরা পরিশ্রম, এরপর যে টাকা আসে সে টাকা দিয়েই পরিবারের মুখে হাসি ফোটায় কিশোর নাজমুল।

বাবা-মা ও ছয় ভাই নিয়ে আট সদস্যের পরিবার তার। বড় তিন ভাই পরিবার নিয়ে আলাদা বসবাস করেন। জীবিকার তাগিদে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থেকে সাভার আসে নাজমুল এর পরিবার। সাভারের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও অলিগলি ঘুরে বিক্রি করে বাদামের টানা ও চাল কুমড়োর মোরব্বা। সারাদিন ঘুরে বিক্রি শেষে যে টাকা আয় হয়। তাই দিয়ে চলে বৃদ্ধ বাবার চিকিৎসা আর ছোট দুই ভাইয়ের পড়াশোনা।

কিশোর নাজমুলের সাথে কথা হলে সে বাংলাদেশ জার্নালকে জানায়, দ্বিতীয় শ্রেণির গণ্ডি পার হতে না হতেই পরিবারে নেমে আসে অভাব-অনটন। বাবার গলার চিকিৎসা এবং সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিল মা। এসময় সংসারের দায়িত্বগুলো এসে পড়ে তার কাঁধে। পরিবারের দেখাশোনা করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায় তার পড়াশোনা।

সে আরও বলে, সাভারের বিভিন্ন অলি-গলিতে ঘুরে কোনদিন ৫০০, কোনদিন ৩০০ আবার কোনদিন ৭০০ টাকা বিক্রি হয়। এরইমধ্যে যা কিছু থাকে তা দিয়ে চলে আমার টানাটানির সংসার। ইচ্ছে থাকলেও পড়াশোনার সুযোগ নেই আমার। সারাদিনে যা কামাই, তা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাই, কোনরকম খেয়ে-দেয়ে আছি। আমার ছোট দুই ভাইকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখি। তারা পড়াশোনা করে অনেক বড় চাকরি করবে। তখন বাবার চিকিৎসা হবে আর আমাকে কোন জায়গায় কাজ করতে হবে না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত