সিলেবাস বিতরণ আজ, পরীক্ষা আগামীকাল!
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৩৪ আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৩৭
নড়াইলে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম সাময়িক পরীক্ষা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আর সিলেবাস দেয়া হচ্ছে আজ। তাই সরকারি ছুটির দিনেও সকাল থেকে উপজেলা জেলা শিক্ষা অফিসে ভিড় করছেন শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলায় ১’শ ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্টার গার্ডেন রয়েছে ১৫ টি। এসব বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে।
আর আজ সোমবার সকাল থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সরকারি ছুটির দিনে বিদ্যালয়ের সিলেবাস এবং পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকরা এসে দাঁড়িয়ে আছেন সিলেবাস ও প্রশ্ন নেওয়ার জন্য।
এক এক জন করে টোকেন নিচ্ছেন আর অন্য জায়গা থেকে সিলেবাস ও প্রশ্ন সরবরাহ করা হচ্ছে। এজন্য খরচ বাবদ টাকাও নেওয়া হচ্ছে। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার টাকা নিয়ে টোকেন দিচ্ছেন।
এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার এবং কিন্টারগার্ডেনগুলোতে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের মাধ্যমে ১৬ হাজার সিলেবাস বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষকরা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে সিলেবাস দেওয়ার কথা বছরের শুরুতে যা দেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করবে। বছরের ৪ মাস চলে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা এ সিলেবাস নিয়ে আমরা কবে পড়াব? আর শিক্ষার্থীরা কি পরীক্ষা দিবে?
শিক্ষকরা বাংলাদেশ জার্নাল-এর কাছে অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে পবিত্র শবে বরাত থাকায় অধিকাংশ শিক্ষকরা ইবাদত করে শরীর ক্লান্ত আছে আবার অনেকে রোজাও রেখেছেন। প্রশ্নপ্রত্র ও সিলেবাস নিজেরা তৈরি করলেও এত দেরিতে কেন সিলেবাস দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন সবার।
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদুল করিম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে সিলেবাস পরিবর্তন হয়ে থাকে তাই নিদিষ্ট সময়ে দেয়া যায়নি। গত রোববার আমাদের কাছে পৌঁছানো পর থেকেই বিতরণ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত কুমার পাল পরীক্ষার সিলেবাস দিতে একটু দেরি হওয়ার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, প্রথম সাময়িকে কোন জায়গা থেকে কোন পর্যন্তু আসবে সেটি পূর্বেই বিদ্যালয়গুলোতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সিলেবাস তো সারা বছরের জন্য সামনে আরও দুইটি পরীক্ষা রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মু. শাহ আলম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এটা উপজেলা শিক্ষা অফিস করে থাকে, তাই এই ব্যাপারে টিও-র (উপজেলা শিক্ষা অফিসার) সাথে কথা বলেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি
