ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশের পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া-ধস্তাধস্তির ঘটনায় মামলা

  সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ মে ২০১৯, ১১:২৪  
আপডেট :
 ১৪ মে ২০১৯, ১১:৩৬

পুলিশের পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া-ধস্তাধস্তির ঘটনায় মামলা

সিরাজগঞ্জে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে স্থানীয় ছাত্রলীগের দশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে কাজিপুর থানা পুলিশ।

স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় লাইনের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আরো কয়েকজনের মাঝে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

এসময় কর্তব্যরত পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশের পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া, ধাক্কাধাক্কি ও গালাগালির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম তালুকদারসহ মোট দশজনকে আসামি করে এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম লুৎফর রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, সোমবার (১৩ই মে) কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মার্ট কার্ড বিতরণের কার্যক্রম চলাকালীন লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড গ্রহণ করছিলেন।

বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম তালুকদারসহ আরো অন্তত দশজন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে লাইনে দাঁড়ানো লোকজনকে উপেক্ষা করে আগে কার্ড গ্রহণে জন্য কর্তব্যরত ব্যক্তিদের উপর চাপ প্রয়োগ করলে জনসাধারণের সাথে তর্কবিতর্ক ও বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।

ওসি বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, এ অবস্থায় ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ছাত্রনেতা আবু সায়েম তালুকদারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন পুলিশের উপর চড়াও হন। এসময় তারা পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি, গালাগালি ও পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া করেন। সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সেখান পৌঁছলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সটকে পড়েন।

ওসি বাংলাদেশ জার্নালকে আরো জানান, এ ঘটনায় থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে এদিন রাতেই ১০/১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাত ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু আহম্মেদ বলেন, ঘটনার সময় শুধু যে ছাত্রলীগ নেতা আবু সায়েম ভুল করেছে তা নয়। পুলিশের অসদাচরণের কারণে গ্রামবাসীও তাদের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল। এ অবস্থায় ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বাংলাদেশ জার্নালকে আরো জানান, এ ঘটনার মীমাংসার লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজীসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে নিয়ে থানায় গিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলেছি। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, ঘটনা যাই হোক উপযুক্ত বিচার দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম তালুকদারের মোবাইলে ফোনে করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত