ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

সেপটিক ট্যাংকে নিখোঁজ ছাত্রের মরদেহ

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ মে ২০১৯, ১২:৩৭

সেপটিক ট্যাংকে নিখোঁজ ছাত্রের মরদেহ
ফাইল ফটো

গাজীপুরে গাছা ইউনিয়নের একটি বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজের ১২ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসানের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়নের কামারজুটি এলাকার মধ্যপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইসমাইল হোসেন জিসান রাজধানীর শ্যামলীর ২নং রোড এলাকার সাব্বির হোসেন শহীদের ছেলে। জিসান ইউরোপীয় ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি পাঠাওয়ের মোটরসাইকেল চালক ছিলেন।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসিবুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করেছে। তিনি গাছা থানার কামারজুটি মধ্যপাড়া এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী ও একই এলাকার বাসিন্দা।

শেরেবাংলা নগর থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, ১২ মে ঢাকার শেরে বাংলা নগর থেকে নিখোঁজ হয় ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসান।

ওই দিন সকালে জিসানের পাঠাও মোটরসাইকেল ভাড়া করে গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায় যান যাত্রীরা। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

সারাদিন সন্ধান না পাওয়ায় রাতে গাছা থানায় জিডি করেন তার বাবা সাব্বির হোসেন। এর একদিন পর ছেলের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় শেরেবাংলা থানায়ও জিডি করেন তিনি। এর পরই অভিযানে নামে পুলিশ।

ঘাতকরা গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানাধীন কামারজুরি এলাকায় অবস্থান করছেন এমন গোপন তথ্য পেয়ে সেখানে বুধবার রাতে অভিযান চালায় গাছা ও শেরেবাংলা থানা পুলিশ। অভিযানে ওই এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে হাসিবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে জিসানের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

এর পর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাসিবুর জিসানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং তার মরদেহ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়েছে বলে জানান। তার তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

আটক হাসিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় অনেকে জড়িত থাকতে পারে এবং আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে জানান ওসি।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত