ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঘুষ ছাড়া মিলে না পারিবারিক সঞ্চয়পত্র

  রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৯, ১১:০৯

ঘুষ ছাড়া মিলে না পারিবারিক সঞ্চয়পত্র

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রধান ডাকঘর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। গ্রাহক হয়রানির অপর নাম হয়েছে এই ডাকঘর। ঘুষ ছাড়া কোন সেবা মিলে না এখানে। বিশেষ করে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র নিয়ে এ ডাকঘর ঘুষের রাজত্ব কায়েম করেছেন এ পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ডাকবিভাগের একটি জনপ্রিয় সঞ্চয় স্কিম। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন। এ সঞ্চয়পত্রে লাভের পরিমাণ অন্য যে কোন সঞ্চয় স্কিমের চেয়ে বেশি। এক লক্ষ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মাসে নয়শত বারো টাকা লভ্যাংশ দেয় ডাক বিভাগ। এ কারণে মানুষ এ সঞ্চয় স্কিমে অর্থ লগ্নি করতে অনেক বেশি আগ্রহী।

এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘুষ বাণিজ্যে নেমেছে রায়পুর প্রধান ডাকঘর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ঘুষ ছাড়া কোনো গ্রাহক এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তাদের অভিযোগ এ ডাকঘরের সঞ্চয়পত্র কিনতে গেলে গ্রাহকদের বলা হয়- দু’মাস পরে আসতে হবে।

তবে ১-২ হাজার টাকা দিলে তাৎক্ষণিক পাওয়া যায় পারিবারিক সঞ্চয়পত্র। এ ডাকঘরে সঞ্চয়পত্র কিনতে এসে হয়রানির শিকার হন পৌর শহরের কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। তারা বলেন, ডাকঘরে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে থেকেও সঞ্চয়পত্র কিনতে পারিনি। তবে তাদের সাথে আসা কয়েকজন গোপনে নগদ টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনে নিয়েছেন।

রেজাউল করিম নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, শুধু সঞ্চয়পত্র নয়, এ ডাকঘরে কোন সেবাই ঘুষ ছাড়া পাওয়া যায় না। অভিযোগ উঠেছে রায়পুরের প্রধান পোস্ট মাস্টার জয়নাল আবেদিনসহ অন্যরা ঠিকমতো অফিসেও আসেন না। আসলেও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যান। তার কারণেই মূলত এ ডাকঘরের কর্মচারী কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

আবদুর রহিম ও খলিলুর রহমান নামে দু’জন গ্রাহক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমরা একাধিক বার এসেছি পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের জন্য। পোস্ট মাস্টারের কাছে আবেদন করলেও তিনি কোনো গুরুত্বই দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে রায়পুরের প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার জয়নাল আবেদিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সরকারিভাবে সঞ্চয়পত্র আসতে দেরি হওয়ায় লোকজনকে সময়মতো দিতে পারছি না। অনেকে আমাদের কাছে আমানত রেখেছেন সঞ্চয়পত্রের জন্য, তাদেরকেও দিতে পারছি না। ঘুষ নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন এবং বলেন, কেউ যদি খুশি মনে চা-সিগারেটের পয়সা দেয় তবে কিছু গ্রহণ করি।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত