ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

টুং টাং শব্দে মুখরিত কলাপাড়ার কামার পল্লী

  কলাপাড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০১৯, ২১:৪৫

টুং টাং শব্দে মুখরিত কলাপাড়ার কামার পল্লী

ঈদুল আজহা ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে কলাপাড়ার কামার পল্লীগুলোতে। রাত-দিন হাতুড়ি ও লোহার টুং টাং শব্দে সরগরম কামারপাড়া এলাকাগুলো। কামারিরা তৈরি করছে কাটরি, হাঁসুয়া, ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটি। পাশাপাশি চলছে পুরাতন সরঞ্জামে শান দেওয়ার কাজ।

কোরবানির ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামারীদের ব্যস্ততা। ঈদের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই কাজের চাপ অনেক বেশি। তাই যে সব দোকানে দুই জন শ্রমিক কাজ করতেন, এখন সে সব দোকানে ৫ থেকে ৬ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন।

সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে জ্বলছে কামার দোকানের চুলার আগুন। কামার পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, চারদিকে শুধু টুং টাং শব্দ। কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন দগদগে লাল লোহার খণ্ড, আবার কেউ শান দিচ্ছেন ছুরি কিংবা বঁটি, কেউবা আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন।

কোরবানির সময় তাদের আয় বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই সারাবছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তারা।

পশু জবাইয়ের উপকরণ কিনতে আসা আব্দুস সোবহান নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদেরতো আর বেশি দিন বাকি নেই। তাই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতে আসলাম।

সাইফুদ্দিন নামে আরো এক ক্রেতা জানান, পশু জবাইরে সরঞ্জাম কেনার পাশপাশি পুরাতনগুলোও শান দিতে নিয়ে এসেছি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, দা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, এ বছর পশু কোরবানির উপকরণের দাম তুলনামূলক বেশি। তবে কামারিদের দাবি, কয়লা ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় সরঞ্জামাদির দাম কিছুটা বাড়তি।

কলাপাড়া পৌরশহরের কামার দোকানি গৌতম কর্মকার জানান, সারা বছর তেমন কোনো থাকে না। কোরবানির ঈদ আসলেই কাজের চাপটা বাড়ে। দাম আমরা বেশি নিচ্ছি না। লোহা, কয়লার দাম বেড়ে গেছে। এখন আমাদের কি করার আছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত