সেই ডিসির বিশ্রামকক্ষের বাইরে লাল-সবুজ বাতির রহস্য
জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫১
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সেই বিশ্রাম কক্ষের বাইরে লাল-সবুজ বাতি জ্বালিয়ে রাখার রহস্য উদঘাটন হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একাধিক কর্মী জানিয়েছে, ওই বিশ্রাম কক্ষে নারী নিয়ে প্রবেশ করার সময় বাইরে লাল বাতি জ্বালিয়ে রাখতেন আহমেদ কবীর। আর বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন একজন পিয়নকে। তার কাজ ছিলো ওই সময় রুমে যাতে কেউ ঢুকতে না পারেন তা পাহারা দেয়া। আর রুমের বাইরে সবুজ বাতি জ্বললে তবেই রুমে কাউকে ঢুকতে দিতেন আদেশপ্রাপ্ত পিয়ন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট কর হয়। তবে শুক্রবার সকাল থেকে ওই আইডিতে ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার আগেই ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারের বিভিন্ন গ্রুপে তা ছড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছিল, ভিডিওটি অফিসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় (সিসি) ধারণ করা। প্রশ্ন ওঠে তবে কি ওই রুমে সিসি ক্যামেরার কথা জানতেন না ডিসি? এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেলো ভিন্ন কথা। আসলে ওই রুমে কোনো সিসি ক্যামেরা ছিলোই না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক কর্মচারী জানান, অফিস কক্ষের পাশের ওই রুমটিতে আগে বিশেষ মিটিং করতেন ডিসি। পরে টেবিল চেয়ার সরিয়ে সেখানে খাট বসানো হয়। বলা হয়, রুমে তিনি বিশ্রাম নিবেন।
ডিসির রুমে যাওয়ার জন্য দুইটি রাস্তা ছিল। যার একটি বন্ধ করে দেয়া হয়। অপর গেটটির উপরে আছে লাল এবং সবুজ বাতি। নারী নিয়ে ওই বিশ্রাম কক্ষে প্রবেশের সময় তিনি লাল বাতি জ্বালিয়ে দিতেন। পিয়নকে আগেই বলা থাকতো, সবুজ বাতি না জ্বলা পর্যন্ত কাউকে যেন ভেতরে ঢুকতে দেয়া না হয়।
এদিকে, ওই নারীর সঙ্গে ডিসির সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে যে, ‘অফিস সহায়ক’ হলেও তিনি খবরদারি চালাতো সবার সঙ্গে। তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে অফিসের কর্মীদের মধ্যে কেউ ওই রুমে গোপন ক্যামেরা সেট করেন। আর তাতেই ধরা পড়ে বিশ্রাম রুমে ডিসির আপত্তিকর ভিডিও।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ
