ধর্ষণের পর গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হলো তরুণীকে
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৩৬
পাবনার সাঁথিয়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর তার গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার করমজা ইউনিয়নের তলট গ্রামে।
ঘটনার সাথে জড়িতের অভিযোগে পুলিশ রোববার রাতে অভিযুক্ত শাহ আলম বিশাকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযুক্ত অপর দু’জন হলো করমজা ফকির পাড়া গ্রামের হালিমের ছেলে নিরব (১৬) ও একই গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে বেলাল (১৯)।
এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মেয়েটি ৭ম শ্রেণিতে পড়ত। কিছুদিন আগে আর্থিক কারণে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। নিরব নামে মেয়েটির এক বন্ধু শনিবার সন্ধ্যায় তার সাথে কথা আছে বলে বাড়ির বাইরে ডেকে নেয়। এরই মধ্যে নিরবের অপর দুই বন্ধু বেলাল ও শাহ আলম বিশা (১৯) সেখানে হাজির হয়।
তারা কৌশলে বাড়ির পাশে কবরস্থানের পাশে একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
ধর্ষকরা মেয়েটিকে মৃত ভেবে পাশেই একটি মেহগনি গাছের সাথে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এদিকে মেয়েটির গোংরানিতে শব্দ শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এরপর মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি সে তার পরিবার ও স্বজনদের জানায়।
এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বাদি হয়ে রোববার সকালে তিনজনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রোববার রাতে অভিযুক্ত শাহ আলম বিশাকে গ্রেপ্তার করেছে।
সাঁথিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের পাওয়ার পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রোববার পাবনা সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে