নানান রঙের জারবেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:০৪ আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:২৫
সূর্যমুখী পরিবারের জনপ্রিয় ফুল জারবেরা। লাল, সাদা, হলুদ, পিংক, ম্যাজেন্টা, কমলা রঙের হয়ে থাকে এ ফুল। এই ফুলের চারা টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে।
উদ্ভিদবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসের বন্ধু জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও প্রকৃতিবিদ ট্রাউগট গেরবার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। ফুলটি আফ্রিকান ডেইজি নামেও পরিচিত। প্রায় ৩০টি প্রজাতির জারবেরা ছড়িয়ে আছে দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ায়। ফুলটি পৃথিবীব্যাপী কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সূর্যমুখীর মতো দেখতে এই ফুলগাছের পাতা পালং শাকের মতো। দেশে লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, কমলাসহ কয়েকটি রঙের জারবেরার চাষ হয়। সারা বছরই জারবেরা ফুল ফোটে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর সাবদি কলাগাইছা গ্রাম থেকে ছবিগুলো তুলেছেন সৈয়দ মেহেদী হাসান।
জারবেরা ফুলের বীজ থেকে চারা হয় না। সাকার উৎপাদনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। মাতৃগাছ থেকে বারবার চারা উৎপাদন করলে এ ফুলের গুণগতমান ও উৎপাদন হ্রাস পায়।
একসঙ্গে অল্পসময়ে অধিক চারার জন্য এবং জীবাণুমুক্ত চারার জন্য টিস্যু কালচার আবশ্যক।
একবার চারা রোপণ করলে বহু বছর ফুল পাওয়া যায়। চারা রোপণের ১ বছর পর থেকে ফুল ও স্টিক ছোট হতে থাকে। বাণিজ্যিক চাষের ক্ষেত্রে এক বছর পরপর নতুন চারা রোপণ করা ভালো।
চারা রোপণের ৬০ দিনের মধ্যে ফুল আসে। জারবেরা একটি বীরুৎজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। একটি গাছ থেকে বছরে ৫০ থেকে ৬০টি ফুল পাওয়া যায়।
চোখ জুড়ানো বাহারি রঙের কয়েকটা জারবেরার গাছ ছাদে রাখলে ছাদের সৌন্দর্য অসম্ভব বৃদ্ধি পায়। ছাদে এর চাষ করতে হলে জারবেরা গাছগুলোকে অন্য গাছের ছায়ায় রাখা যেতে পারে। তাতে হালকা রোদও পাবে আবার হালকা ছায়াও পাবে। টবে যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে তা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
জারবেরার ফুল মরে যেতে শুরু করলে ফুলের ষ্টিক একদম গোড়ায় কেটে ফেলতে হবে। টবের মাটি যাতে বেশি শুকিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোনো ক্রমেই গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেয়া যাবে না। জারবেরা গাছের পাতা মরে গেলে মরা পাতা কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলতে হবে। ১৫-২০ দিন পরপর সরিষার খৈল পচা পানি পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিতে হবে। টবের মাটি মাঝে মাঝে খুঁচিয়ে দিতে হবে।
ফুল তোলার সময় বোটা একটু লম্বা রাখতে হবে এবং ফুল তেরছাভাবে কাটতে হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে