ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাছ বাজারে কিছুটা স্বস্তি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৩

মাছ বাজারে কিছুটা স্বস্তি

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে মাছের বাজারে। কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাছ। পাশাপাশি দাম কমেছে মুরগি এবং ডিমের বাজারেও। পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দর। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশকিছু সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আর হুট করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম বাড়তিই রয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।

কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে কাচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা করে। মলা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, নদীর টেংরা (বড়) ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, দেশি শিং ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২৮০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কাতল (আকারভেদে) ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে অপরিবর্তিত আছে পাবদা, রুই ও তেলাপিয়া মাছের দর। প্রতিকেজি পাবদা মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১১০ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমেছে ইলিশেরও। কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে এসব বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়। সোয়া কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকা কেজি। ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা করে। এছাড়া ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খিলগাঁও বাজারের মাছ বিক্রেতা হাফিজ বলেন, ‘এখন ইলিশ মাছের দাম কমায় সব মাছের দাম কমেছে। এখন পর্যাপ্ত ইলিশ আছে। দামও কম। তবে ইলিশের সরবরাহ কমলে অন্যান্য মাছের দামও বেড়ে যাবে।’

অন্যদিকে ডজনে পাঁচ টাকা কমে এসব বাজারে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা করে। ১০ টাকা কমে সোনালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তবে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগির ডিম; ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা ডজন।

কেজিতে পাঁচ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা করে। ১০ থেকে ২০ টাকা কমে লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও দেশি মুরগি; ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি। এছাড়া দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর ছোট রোস্টের মুরগি প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দর। এসব বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা করে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা করে।

মুরগি ব্যবসায়ী বোরহান বলেন, ‘কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। এখন কাপ্তান বাজারে মুরগির আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে।’

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশকিছু সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আর হুট করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম বাড়তিই রয়েছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সংবাদে গত সপ্তাহে হুট করেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এখন নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। এদিকে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এরপরও সব ধরনের সবজির দাম এখনো বেশ চড়া।

শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০-২২০ টাকা। ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির পিস গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।

গাজর আগের মতই বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। উস্তার কেজি ৭০-১০০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি।

পটলের দাম কিছুটা কমে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। দাম কমার তালিকায় থাকা কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা।

বেগুন গত সপ্তাহের মতো ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা পিস। কাঁচা মরিচের ঝাল আগের মতই কড়া। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত