ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

লাভের মৌসুমে লোকসানের হাতছানি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৫৬  
আপডেট :
 ২১ এপ্রিল ২০২২, ১১:১৭

লাভের মৌসুমে লোকসানের হাতছানি

বাড়তি আয়ের আশায় ঈদের অপেক্ষায় থাকেন ব্যবসায়ীরা। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার আশায় বুক বেঁধেছেন অনেকেই।

রমজান মাসের অর্ধেক পেরিয়ে যাওয়ার পর যখন বিক্রি জমজমাট হওয়ার কথা, সে সময় লোকসানের হিসাব কষছেন রাজধানীর ঢাকা নিউমার্কেট এলাকার দোকানিরা।

গত সোমবার রাতে নিউমার্কেটের একটি খাবার দোকানে ঢাকা কলেজের কয়েক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সাথে দোকানকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

এর জের ধরে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা কলেজ-নিউমার্কেট-নীলক্ষেত এলাকা। সংঘর্ষে দুই পথচারী নিহত হন, আহত হন দোকানকর্মী, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি।

সংঘর্ষের কারণে সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত ১০টি বড় বিপণি বিতানসহ সব মার্কেট বন্ধ ছিলো। বুধবারও খোলেনি মার্কেটগুলো। দুই-একটি দোকান খুললেও বিকালে হাতবোমা বিস্ফোরণের পর তা আবারো বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, চন্দ্রিমা মার্কেট, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট, ঢাকা নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, নূর ম্যানশন, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট, বদরুদ্দোজা মার্কেট, গ্লোব মার্কেট, সায়েন্স ল্যাব, নেহাল ভবন, সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট এবং গাউছিয়া থেকে বাটা সিগনাল যাওয়ার রাস্তার দুই ধারে ১০ হাজারেরও বেশি দোকান রয়েছে। এই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষের জীবিকা জড়িত। এখানে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব নির্ণয় করা কঠিন।

শাহীন আরও বলেন, একেক দোকানের বেচা-বিক্রি একেক রকম। ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত। ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি দোকানে গড়ে ৫০ হাজার টাকার বেচাবিক্রি ধরে নিলেও এখানে একদিনে হিউজ লস হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা করে ধরলে প্রতিদিন গড়ে ৫০ কোটি টাকার বেচাবিক্রি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

চাঁদনী চক সুপার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কারণ প্রশাসনের প্রচেষ্টার পরও এই সংঘর্ষ থামছে না। ঈদের মৌসুমে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা এই সংঘাতের জন্য দোকানকর্মীদের দায়ী করে আসছে। ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ টি এম মইনুল হোসেনেরও অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে দোকানকর্মীরা চড়াও না হলে পরিস্থিতির এতটা অবনতি হতো না।

সংবাদ সম্মেলনে নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা শাহীন বলেন, তারাও আলোচনা চান। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং অত্র এলাকার ব্যবসায়ীসহ আলোচনার মাধ্যমে একটি কোর কমিটি গঠনের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবো, যাতে করে যে কোনো ঘটনা আলোচনার ভিত্তিতে সুষ্ঠূ সমাধান করতে পারি।

শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো ধরণের উসকানিমূলক কথা না বলার জন্য নিউমার্কেট এলাকার দোকান মালিক ও কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত