ক্যাসিনোতে ধরা পড়ে যা বললো ২ তরুণী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০২:২৬
রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় ক্লাবের ভেতর থেকে দুই তরুণীকে আটক করে র্যাব।
বুধবার রাত ৯টায় ফকিরাপুল ক্লাবে এই অভিযান চালানো হয়। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরে র্যাবকে উদ্দেশ্য করে ওই দুই তরুণী বলেন, ‘স্যার, আমাদের থ্রি-পিসটা পরতে দেন। এখানে পেটের তাগিদে চাকরি করি। ওয়েস্টার্ন ড্রেস না পরলে চাকরি থাকবে না। এখানে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো। খারাপ কাজের কোনো সুযোগ নেই। এখানে জুয়ার বোর্ডে চাকরি করাটাই কি অপরাধ?’
জানা যায়, দুই তরুণীর একজন নিজেকে রিসেপশনিস্ট ও আরেকজন জুয়ার বোর্ডের কার্ড সরবরাহকারী পরিচয় দেন। রিসেপশনিস্টের বেতন ২১ হাজার আর কার্ড বিতরণকারীর ১০ হাজার। দৈনিক ১২ ঘণ্টা চাকরি। গত দেড় মাস যাবত এই ক্লাবে তারা চাকরি করছেন।
তারা জানান, তারা মোট ৬ জন পালাক্রমে ডিউটি করেন। তাদের স্বামী এখানে চাকরির কথা জানেন। তবে পরিবারের অন্যরা জানেন না। তারা বারবার নিজেদের নিরপরাধ দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেন্স ক্লাবের নিষিদ্ধ জুয়ার ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় ভেতরে থাকা এবং ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আছে, এই ক্লাবে আট মাস ধরে অবৈধ আসর বসছিল। এ সময় আমরা দেখি, ক্লাবের নিচতলায় যন্ত্রের মাধ্যমে জুয়া খেলা (ক্যাসিনো) চলছে। এছাড়া জুয়া খেলার ফাঁকে ফাঁকে মদ পান হচ্ছে।
তিনি জানান, যারা এই ক্লাবে এসেছেন তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আটক ব্যক্তিদের মদ পানের লাইসেন্স নেই। এমনকি ইয়াংমেন্স ক্লাবেরও মদ বিক্রির লাইসেন্স নেই। এ সময় জুয়া খেলার ২৪ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ