ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

গত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে অর্থ পাচারসংক্রান্ত লেনদেন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২২, ২০:১৫

গত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে অর্থ পাচারসংক্রান্ত লেনদেন
ছবি- সংগৃহীত

দেশে গত অর্থবছরে আগের বছরগুলোর চেয়ে অর্থ পাচারসংক্রান্ত লেনদেন বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ হাজার ২৮০টি সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার বিএফআইইউ-এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২০-২০২১ এবং বিএফআইইউ-এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফআইইউয়ের প্রধান মাসুদ বিশ্বাস। সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম, বিএফআইইউয়ের প্রোগ্রামার ইফতেখার মাহমুদ এবং যুগ্ম-পরিচালক ইকরামুল হাসান প্রমুখ।

সংস্থাটি জানায়, এর আগে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে অর্থ পাচারসংক্রান্ত সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি। সেখান থেকে পরের অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮০টিতে। সে হিসাবে দেশে গত এক বছরে অর্থ পাচার বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ।

অবশ্য সব লেনদেনকেই অর্থ পাচার বলতে নারাজ সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, শুধু দুর্নীতির কারণেই এমন সন্দেহজনক লেনদেন বাড়েনি, বিএফআইআইইউ-এর সক্ষমতা বাড়ানো, কর্মকর্তাদের আরও বেশি নজরদারি, সচেতনতা ও তদারকির কারণেই এত লেনদেন শনাক্ত করা গেছে।

বিএফআইইউর প্রতিবেদনে গত ৫ অর্থবছরের সন্দেহজনক সব লেনদেনের হিসাব দেয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত হয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে, সেবার লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৮৭৮টি।

অবৈধভাবে যেসব অর্থ লেনদেন হয়েছে, তার বেশির ভাগই ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অবশ্য অন্য মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের পরিমাণ খুব কম।

বিএফআইইউ-এর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, আমরা যেসব সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করি, তার ২৬ দশমিক ১ শতাংশ তথ্য আসে গণমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে। ইদানীং ই-কমার্সের মাধ্যমে শত শত অবৈধ লেনদেন হচ্ছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে বিএফআইইউ ওই সংবাদ সম্মেলন করে। বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও সহকারী মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ, বিএফআইইউর মহাব্যবস্থাপক এবিএম জহুরুল হুদা, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আ,র/এমজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত