ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

৫০ হাজারের কম নগদ টাকা জমা নিতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গড়িমসি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:০০  
আপডেট :
 ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:০৮

৫০ হাজারের কম নগদ টাকা জমা নিতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গড়িমসি
ফাইল ফটো

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে ৫০ হাজারের কম নগদ টাকা জমা নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় ১০ হাজার টাকার কম ক্যাশ জমা দিতে গেলে জানানো হয় ক্যাশ কাউন্টারে ৫০ হাজার টাকার কম নগদ টাকা জমা নেয়া হয় না।

এ নির্দেশ কে দিয়েছে জানতে চাইলে বলা হয়, ‘আমাদের ব্যাংক কর্তৃপক্ষ’। এ সম্পর্কিত কোনো নোটিশ আছে কিনা অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সার্কুলার আছে কিনা জানতে চাইলে বলা হয় আছে। কিন্তু দেখতে চাইলে তা দেখাতে রাজি হননি।

ধানমন্ডির একটি বাসার অ্যাপার্টমেন্ট মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনের নামে এ ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এতে মাসের সার্ভিস চার্জ জমা দেয়া হয়। প্রায় দুই দশক ধরে অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাকাউন্টে অ্যাপার্টমেন্ট মালিকরা তাদের সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য লেনদেন করে আসছেন। কোনো সময় চেকে অথবা নগদে এ লেনদেন করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েশনের বাসার কেয়ারটেকার একজন অ্যাপার্টমেন্ট মালিকের সার্ভিস চার্জ নগদে জমা দিতে গেলে ক্যাশ কাউন্টার তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। বলা হয় ৫০ হাজার টাকার কম ক্যাশ জমা নেয়া হয় না। কম জমা দিতে হলে বাইরে মেশিনে জমা দিতে হবে। কেয়ার টেকার মেশিনে জমা দিতে গেলে মেশিনে টাকা গ্রহণ করেনি। মেশিনে শুধুমাত্র রাউন্ড ফিগারের অঙ্ক জমা দেয়া যায়।

এ অবস্থায় কেয়ার টেকার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মালিক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন। তিনি নিজেকে ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের ডেপুটি ম্যানেজার মনির আহমেদ পরিচয় দেন। কেন টাকা জমা নেয়া হচ্ছে না জিজ্ঞেস করলে জানান কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আছে। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সার্কুলার আছে কিনা বা ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, আমাদের কাছে নির্দেশ আছে। মেশিন রাউন্ড ফিগার ছাড়া টাকা নিচ্ছে না জানালে তিনি বলেন, ভাংতি যেটা আছে সেটি ব্যাংকে জমা দেয়া যাবে। মালিক তার কাছে জানতে চান যদি ভাংতি টাকা জমা নেয়া যায় তাহলে পুরো টাকা নেয়া যাবে না কেন? তিনি এ প্রশ্নও এড়িয়ে যান। পরে তাকে এ নির্দেশের কপির ছবি মোবাইলে নেয়ার অনুরোধ জানালে তিনি বলেন, আমি ম্যানেজারের সাথে কথা বলছি। এ বলে লাইন কেটে দেন।

পরে কেয়ার টেকারের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জের পুরো অঙ্কের অর্থই জমা নিয়ে তাকে বলে দেয়া হয় আগামী মাস থেকে এভাবে আর টাকা জমা দেয়া যাবে না।

এ প্রতিবেদক ওই বাড়ির কেয়ারটেকার ও ডাচবাংলা ব্যাংকের উল্লিখিত কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত